ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
ইজ়রায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলার জেরে বিধ্বস্ত গাজ়া। সেই অঞ্চলের মানুষজন থেকে শুরু করে পশুপাখি, সকলেরই জীবন কাটছে এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে। আজ আছি, কাল হয়তো না-ও থাকতে পারি। যুদ্ধকালীন এই পরিস্থিতিতে খাদ্যাভাবের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। গাজ়া ভূখণ্ডের মানুষদেরই দু’বেলা দু’মুঠো পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরিস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে, সেখানে পশুপাখিদের এক বেলাও খেতে পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেও সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে গাজ়ার এক অন্য রকম রূপের ভিডিয়ো।
সেই রূপে মনুষ্যত্ব রয়েছে, রয়েছে করুণা ও প্রাণ। এক জন বছর বারো কি তেরোর কিশোর কালো রঙের একটি বিড়াল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিশোরটি আদর করে ধ্বংসস্তূপের মাঝে খুঁজে পাওয়া বিড়ালটির নাম রেখেছে সিম্বা। পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবের জন্য কিশোরটি পড়েছিল বিশাল সঙ্কটে। তার স্নেহের পোষ্যের জন্য সে খাবার পাচ্ছিল না। কিন্তু সে হার মানেনি। আর খুঁজতে খুঁজতে সে এক বস্তা বিড়ালকে দেওয়ার শুকনো খাবার খুঁজে পেয়েছে। অশান্ত এই পরিস্থিতিতে এক বস্তা বিড়ালকে দেওয়ার খাবারই তার মনে দু’দণ্ড শান্তি দিয়েছে। সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ভিডিয়ো অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে গাজ়ায়।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক জন কিশোর হাতে একটি কালো রঙের বিড়াল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ স্পষ্ট। তার আনন্দের কারণ হল সে তার বিড়ালের জন্য এক বস্তা বিড়ালকে দেওয়ার বিশেষ খাবার খুঁজে পেয়েছে। কিশোরটি জানিয়েছে তার বিড়াল সিম্বা কয়েক দিন খুব কষ্টে কাটিয়েছে। কারণ, তাকে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খাবার কিশোরটি খুঁজে পাচ্ছিল না। বিড়ালটিকে সে আগে যা যা খাবার দিত সেগুলোও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে আসছিল। কিন্তু তার পর সে এক বস্তা বিড়ালকে দেওয়ার বিশেষ খাবার খুঁজে পায়। যার ফলে সে এবং তার পোষ্য সিম্বা, দু’জনেই খুব আনন্দ পায়। কথাগুলো বলার সময় তার পোষ্য সিম্বা তার কোলে চুপটি বসে রইল। গোল গোল চোখ নাড়িয়ে বিড়ালটি মাঝেমধ্যে এ দিক-ও দিক দেখেও নিল। কিশোরটিরও তার পোষ্যকে নিয়ে আহ্লাদের শেষ নেই। সে মাঝেমধ্যেই কথার ফাঁকে বিড়ালটিকে মুখের কাছে টেনে নিয়ে আদরে ভরিয়ে দিল। কিন্তু বিড়ালটিও চুপ করে সেই আদর সহ্য করল। সব শেষে কিশোর সেই বস্তা থেকে খাবার বার করে বিড়ালটিকে খেতে দিল। বিড়ালটিও আমোদের সঙ্গে সেই খাবার খেতে লাগল। মন ভাল করা সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
‘আহমেদ_অ্যান্ড_সিম্বা’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ভিডিয়োটিতে প্রচুর নেটাগরিক লাইক ও কমেন্ট করেছেন। ইতিমধ্যে ৬৪ হাজারেরও বেশি নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নানা মন ভাল করা মন্তব্য করে নেটাগরিকেরা ভিডিয়োটির মন্তব্যবাক্স ভরিয়ে তুলেছেন।