ছবি: সংগৃহীত।
যেন মামাবাড়ির আবদার। বক্স অফিসে হইচই ফেলে দেওয়া ভারতীয় ছবির লাভের বখরা চাইল পাকিস্তান! কারণ ছবিটি সে দেশের শহরকে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের লিয়ারির একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, ‘ধুরন্ধরের’ নির্মাতা আদিত্য ধরকে তাঁর ছবির লাভ ভাগ করে নিতে হবে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
এক্স হ্যান্ডলে ছড়িয়ে পড়া সেই এক মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লিয়ারির এক দল বাসিন্দা ‘ধুরন্ধরের’ আয়ের ভাগ চাইছেন। তাঁদের একাংশের দাবি, লিয়ারি শহরটি যেহেতু ভারতীয় ছবিতে দেখানো হয়েছে, তা হলে শহরের বাসিন্দারা তা থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন না কেন? ছবির আয়ের ৮০ শতাংশ লিয়ারির বাসিন্দাদের দিয়ে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে। তাঁদের মতে, পরিচালক ভবিষ্যতে আরও সিনেমা তৈরি করবেন। তাই এটুকু টাকা পাকিস্তানের বাসিন্দাদের দিয়ে দেওয়া কোনও বড় বিষয় নয়।
টাকার পরিমাণ নিয়েও বাসিন্দাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। তাঁরা নিজেরাই স্থির করে উঠতে পারছিলেন না কত টাকা ‘ভিক্ষা’ চাওয়া উচিত। কেউ মনে করছেন, লিয়ারির বাসিন্দাদের ছবির আয়ের অন্তত অর্ধেক পাওয়া উচিত। আবার কেউ ৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা দাবি করেছেন। ভিডিয়োয় এক পাক নাগরিককে বলতে শোনা গিয়েছে, এই টাকা দিয়ে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা যেতে পারে। অন্য এক জন আবার হঠাৎ করেই ১২ কোটি টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করতে চেয়েছেন। এরই মাঝে এক পাকিস্তানির মন্তব্যে বাস্তবতা ফুটে ওঠে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই সব দাবির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। ছবি যে শহরেরই প্রেক্ষাপটে তৈরি হোক না কেন লিয়ারির বাসিন্দাদের কানাকড়ি পাওয়ারও সুযোগ নেই।
ভিডিয়োটি ‘ইয়ার অফ দ্য ক্র্যাকেন’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করার পর তা হাজার হাজার বার দেখা হয়েছে। পাক জনতার বেমক্কা এই দাবি শুনে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়া জুড়ে। বহু মানুষই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মন্তব্য বিভাগে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘নিলর্জ্জতার চূড়ান্ত! পাকিস্তানের ভিক্ষা চাওয়ার অভ্যাস আর গেল না!’’