ছবি: সংগৃহীত।
ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় বসে দিব্যি নুডল্স তৈরি করে খাওয়া-দাওয়া সারলেন যাত্রীরা। ইলেকট্রিক কেটলি চালিয়ে কামরার মধ্যেই রান্না করে দেখালেন এক মধ্যবয়সি মহিলা। মোবাইল চার্জিং সকেটে কেটলি লাগিয়ে মহানন্দে নুডল্স রান্না করতে দেখা গেল তাঁকে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিয়োটি অনলাইনে প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার জট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এসি কোচে ভ্রমণের সময় এক মহিলা খাবার রাখার জায়গায় ইলেকট্রিক কেটলি বসিয়ে তাতে রান্না করছেন। রেলের আইন অনুযায়ী ট্রেনের ভিতরে ইলেকট্রিক কেটলি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটি বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বেশি ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে। এ ছাড়াও বৈদ্যুতিক সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। ট্রেনের এসি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক পোর্টে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। রেলের সমস্ত নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে ওই মহিলাকে ইলেকট্রিক কেটলি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিয়োটি দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় রেল। যাত্রীদের এই ধরনের বিপজ্জনক আচরণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্বস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে রেল। এই ধরনের কোনও কার্যকলাপ চোখে পড়লেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে যাত্রীদের। ভিডিয়োটি ‘ওক প্যান্ডেমিক’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট হওয়ার পরই ১০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে সেটি। প্রায় ১২ হাজার লাইক জমা পড়েছে তাতে। ভিডিয়োটি রেলের কামরায় যাত্রীদের দায়িত্ব এবং নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘যাত্রীদের বোঝা দরকার এটি কোনও হ্যাক নয়, বরং গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘আগুন লাগলে বিপর্যয় হতে পারত।’’