ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
প্রেমে পড়লে মানুষ দুনিয়া ভুলে যেতে পারে। রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ তো কোন ছার, প্রেমের জন্য ভূতের সঙ্গে সংসার পাততেও দ্বিধাবোধ করেন না কেউ কেউ। তেমনই এক ভূতের প্রেমে পড়ে ২০১৮ সালে তাকে বিয়ে করার দাবি করেছিলেন এক তরুণী। ৩০০ বছরের ‘বৃদ্ধ’ ভূতের সঙ্গে কয়েক মাস ডেট করার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তরুণী। ৭ বছর ভূতের সঙ্গে সংসার করার পর এ বার বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ৪৫ বছরের আমান্ডা টিগ সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘আমি এখনই সবাইকে জানাতে চাই যে আমি বিয়েতে ইতি টানতে চলেছি। আমি যথাসময়ে সব ব্যাখ্যা করব, কিন্তু আপাতত আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই যে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে জড়িত হওয়ার সময় খুব সতর্ক থাকুন।’’ সংবাদমাধ্যম ‘আইরিশ মিরর’-এর প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৪ সালে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় হাইতির বাসিন্দা এক পুরুষ ভূত নাকি আমান্ডার সঙ্গে দেখা করতে আসে। কয়েক মাস ধরে সেই ভৌতিক সত্তার সঙ্গে আমান্ডার যোগাযোগ হতে থাকে। সে সত্তার নাম জ্যাক। জ্যাক ১৮ শতকের এক জন জলদস্যু ছিল বলে আমান্ডা জানিয়েছেন। চুরির জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল জ্যাককে। সেই ঘটনার চার বছর পর আয়ারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকায় একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে এই ‘দম্পতি’ বিয়ে সেরেছিলেন।
বিয়ের আগে তাঁরা বেশ কিছু সময় একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন বলে দাবি আমান্ডার। আগেও বিয়ে হয়েছিল আমান্ডার। এক সন্তানের মৃত্যুর পর আধ্যাত্মিক জগতের সংস্পর্শে আসেন এই তরুণী। সেই সংক্রান্ত গবেষণা থেকে তিনি জানতে পারেন, এই ধরনের বিবাহের অস্তিত্ব রয়েছে আধ্যাত্মিক সমাজে। আমান্ডার দাবি, ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে তাঁর মধ্যে জ্যাকের প্রতি অনুভূতি তৈরি হতে শুরু করে। সেই অনুভূতি আবিষ্কার করে তিনি আতঙ্কিতও হয়ে পড়েন বলে দাবি করেন আমান্ডা। তাঁদের দু’জনের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তরুণী। যদিও জ্যাকের নাকি বিয়ে করার কোনও তাড়া ছিল না। শারীরিক সম্পর্ক নিয়েই সন্তুষ্ট ছিল সেই ভূত।