Bizarre

স্রেফ মজা করতে ডিএনএ পরীক্ষা তরুণীর, সৎ ভাইবোনের বাবাকে নিয়ে প্রকাশ্যে এল ভয়ঙ্কর পারিবারিক সত্যি!

পোস্টে অ্যামি নামের তরুণী লেখেন যে তাঁর মা অল্প বয়সেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এমনকি কারাবাসও করতে হয়েছিল। অ্যামি এবং বাকি দুই ভাইবোন দাদু-দিদার তত্ত্বাবধানেই থাকতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৮
Share:

ছবি: প্রতীকী।

জন্মদাতা কে তা জানার ইচ্ছে ছোটবেলা থেকেই ছিল তরুণীর। কারণ জ্ঞান হওয়ার পরই জেনেছিলেন তাঁকে এবং দুই ভাইবোনকে দত্তক নিয়েছিলেন দাদু ও দিদা। তরুণীর স্বামী একটি ডিএনএ পরীক্ষক সংস্থা থেকে পরীক্ষা করার পর নিছক মজার ছলেই ডিএনএ পরীক্ষা করাতে যান তরুণী। অ্যামি (নাম পরিবর্তিত) নামের এই তরুণী পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার পর স্তব্ধ হয়ে যান। তাঁর পিতৃপরিচয় জানার এই কাহিনিটি রেডিটে শেয়ার করেছেন অ্যামি। ভাইরাল হয়েছে তাঁর পোস্টটি। যদিও সেই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

অ্যামি সেই পোস্টে জানিয়েছেন মজার ছলে পরীক্ষাটি করতে গিয়ে দীর্ঘ দিনের গোপন পারিবারিক সত্যটি প্রকাশ্যে চলে আসে। তিনি লিখেছেন, তাঁর মা অল্প বয়সেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এমনকি কারাবাসও করতে হয়েছিল। অ্যামি ও বাকি দুই ভাইবোন দাদু-দিদার তত্ত্বাবধানেই থাকতেন। তাঁকে ছোট থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তাঁর বাকি দুই ভাইবোনের বাবা তাঁর বাবা নন। তিনি জানতেন যে যাঁদের সঙ্গে বেড়ে উঠছেন তাঁরা সৎ ভাইবোন। তাঁকে বলা হয়েছিল অ্যামির বাবা সমস্ত দায়িত্বভার বহন করলেও তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে চান না। তিনি তাঁর ভাইবোনদের তাঁদের বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে দেখতেন। নিজেও বাবার থেকে একই রকম সাহচর্য আশা করতেন। বড় হয়ে প্রশ্ন করে নানা অস্পষ্ট উত্তরই পেয়েছেন। এমনকি মাঝেমাঝে তার মা অন্য পুরুষদের তাঁর বাবা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। সেই ব্যাখ্যা অ্যামি কোনও দিনই মানতে পারেননি।

ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল আসার পর হতবাক হয়ে যান এই তরুণী। তাঁকে অবাক করে দিয়ে পরীক্ষা সংস্থাটি জানায় যে তাঁর দুই বড় ভাইবোনের বাবার সঙ্গে তাঁর ডিএনএ-র অধিকাংশটাই মিলে গিয়েছে। কারণ তিনিও ডিএনএ পরীক্ষা করে তাঁর প্রোফাইলটি সংস্থার ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিলেন। অ্যামি জানান, বর্তমানে ভাইবোনদের থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন। তাঁদের কাছে এই সত্য প্রকাশ করেননি। ডিএনএ-র ফল পাওয়ার পরই তিনি প্রথমেই তার দিদার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অ্যামির দিদাও স্বীকার করেছেন যে দীর্ঘ দিন ধরেই এই সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ ছিল তাঁরও। তিনি দাবি করেন যে অ্যামির বাবা বলে যিনি প্রমাণিত হয়েছেন তিনি অতীতে একাধিক বার ডিএনএ পরীক্ষা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। অন্য দিকে অ্যামির মায়ের যুক্তি ‘ডিএনএ পরীক্ষা নির্ভরযোগ্য নয়’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement