ছবি: সংগৃহীত।
দাঁত নষ্ট হয়ে গেলে সোনা বা রুপো দিয়ে তা বাঁধাবার চল বহু দিনের। এমনকি কারও চোখ নষ্ট হয়ে গেলে অক্ষিকোটরে পাথরের নকল চোখও বসানোর চল রয়েছে। তাই বলে চোখের জায়গায় হিরে! এক গয়নার দোকানের মালিক তাঁর নষ্ট হওয়া ডান চোখে বসিয়ে নিয়েছেন দু’ক্যারেটের হিরে। সেই ঘটনার একটি পোস্ট সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আমেরিকার আলাবামার বাসিন্দা স্লেটার জোন্স তাঁর অনন্য কৃত্রিম চোখের জন্য সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। নষ্ট হওয়া চোখের জায়গায় বসিয়ে নিয়েছেন হিরে। ২৩ বছর বয়সি জোন্স একটি গুরুতর অসুস্থতার কারণে তাঁর ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। চোখ হারিয়েও দুর্বল হয়ে পড়েননি জোন্স। তিনি ভেবেছিলেন, যদি তাঁকে কৃত্রিম চোখ লাগাতেই হয় তা হলে তাঁর পেশার সঙ্গে সাজুয্য রেখেই তা করবেন। ভাবনা আসতেই জোন্স যোগাযোগ করেন কৃত্রিম চোখ তৈরির বিশেষজ্ঞ জন লিমের সঙ্গে। বিশেষ মাপের একটি হিরের চোখ তৈরির অর্ডার দেন। পাথরের তৈরি চোখের মণির জায়গায় রয়েছে বড় মাপের হিরেটি। হিরেখচিত চোখের দাম ২০ লক্ষ ডলার।
‘রোগ’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে জোন্সের হিরে বসানো চোখের ছবিগুলি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে বিপুল চর্চা শুরু হয়েছে। ১ লক্ষ ৯৬ হাজার লাইক জমা পড়েছে পোস্টে। ৭২ লক্ষ বার দেখা এই পোস্টটি। বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। কারও মতে এটি বিলাসিতার চরম উদাহরণ। আবার কেউ কেউ মনে করছেন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস না থাকলে এই পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। এক জন নেটাগরিক রসিকতা করে লিখেছেন, ‘‘ইনি এখন জেমস বন্ডের ভিলেন হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছেন।’’
একটি সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জোন্সের কাছেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কৃত্রিম চোখ। চক্ষু বিশেষজ্ঞ জন লিম জানিয়েছেন, তিনি কর্মজীবনে নবজাতক থেকে শুরু করে ১০০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য ১০ হাজারেরও বেশি কৃত্রিম চোখ তৈরি করেছেন। কিন্তু জোন্সের চোখ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মূল্যবান এবং অনন্য।