Bizarre

বিয়ের পর বন্ধুদের জন্য ‘বিশেষ’ পার্টির ব্যবস্থা করেন, হোটেলে এসকর্টের মুখ দেখে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল যুবকের

এক বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মালিক সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে ওই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। কী ভাবে তদন্ত করতে গিয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর, তা-ও জানিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৭
Share:

বিয়েকে সাধারণত ভালবাসা, বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার ভিত্তির উপর তৈরি একটি বন্ধন হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু কখনও কখনও সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না। নিজেদের কারণেই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় অনেক দম্পতিকে। এমন ঘটনাও ঘটে যা দম্পতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের ভিত নষ্ট করে দেয়। সে রকমই একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন এক গোয়েন্দা। তিনি যে অনন্য ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন, তা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছেন নেটাগরিকেরা।

Advertisement

বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মালিক ওই গোয়েন্দা সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে ওই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। কী ভাবে তদন্ত করতে গিয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর, তা-ও জানিয়েছেন। ওই গোয়েন্দা জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের এক তরুণীর সঙ্গে মফস্‌সলের বাসিন্দা এক যুবকের বিয়ে হয়। যুবক ওই মফস্‌সলের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের এক জন ছিলেন।

গোয়েন্দার কথায়, ‘‘তরুণ বেশ আধুনিক ছিলেন। মফস্‌সলের বাসিন্দা হলেও তিনি পড়াশোনা করেছিলেন বিদেশে। কিন্তু বিয়ের মাস দুয়েক পর তরুণী তাঁর বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে রাজি হননি। তাঁদের মধ্যে ঠিক কী হয়েছিল, তা নিয়ে ওই তরুণ বা তরুণী, কেউই মুখ খোলেননি। কেউ কাউকে দোষারোপও করেননি। দু’জনেই শুধু বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে দেন।’’

Advertisement

এর পরেই তরুণীর বাবা-মা উদ্বিগ্ন হয়ে ওই গোয়েন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তদন্ত করে সমস্যা খুঁজে বার করার অনুরোধ করেন। তরুণীর বাবা-মায়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ওই যুবকের উপর নজর রাখা শুরু করেন তিনি এবং তাঁর দল। গোয়েন্দা বলেন, ‘‘আমরা দেখি যে যুবক বাড়ি থেকে অফিসে যেতেন। আবার অফিস হয়ে গেলে সোজা বাড়ি ফিরতেন। তার জীবনে অতিরিক্ত কিছুই ছিল না। খুব ভদ্র ছিলেন। এমনকি, ওঁর কর্মচারী এবং গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলেও বিষয়টি নিশ্চিত করি।’’

গোয়েন্দা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে তিনি ওই যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। একসঙ্গে মদ খেতেও যান বার কয়েক। অবশেষে যুবক মুখ খোলেন তাঁর সম্পর্ক নিয়ে। গোয়েন্দার দাবি, ওই যুবক তাঁকে বলেন, ‘‘যখন আমার বিয়ে হয়েছিল, তখন আমার তিন বন্ধু আমেরিকায় থাকত। ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি। আমি বিয়ের পর ওদের জন্য একটি ব্যাচেলর পার্টির আয়োজন করেছিলাম।’’ যুবক নাকি আরও জানান, তাঁর স্ত্রী কয়েক দিনের জন্য বাপের বাড়িতে গেলে তিনি তাঁর বন্ধুদের একটি হোটেলে পার্টিতে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে বন্ধুদের জন্য এসকর্টের ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু হোটেলের কামরায় ঢুকে হতবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন, হোটেলের কামরায় এসকর্ট হিসাবে যিনি ছিলেন, তিনি আর কেউ নন, তাঁর স্ত্রী স্বয়ং।

গোয়েন্দার দাবি, তাঁরা দু’জনেই একে অপরের সঙ্গে অন্যায় করেছিলেন। তরুণী ছিলেন এসকর্ট। আর যুবক এসকর্ট ভাড়া করেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে আমোদের জন্য। আর সে কারণে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেন। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

গোয়েন্দার সেই অভিজ্ঞতার কথা ইতিমধ্যেই হইচই ফেলেছে সমাজমাধ্যমে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। নেটাগরিকদের অনেকে যেমন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, তেমনই অনেকে আবার গোয়েন্দার দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement