Bizarre Incident

স্বামীর সামনেই প্রেমিকের সঙ্গে সঙ্গম! স্বামীকে খুন করে পাশেই ঘুম, শ্বশুরের অভিযোগে গ্রেফতার বধূ ও তাঁর প্রেমিক

ছত্তীসগঢ়ের গরিয়াবন্দ জেলার বাসিন্দা চুম্মন সাহুকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। খুনের পরিকল্পনায় যোগ দেন স্ত্রীর প্রেমিকও। গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৪৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। প্রেমের পথে কাঁটা দূর করতে তাই স্বামীকে খুন করে মৃতদেহের পাশেই দিব্যি ঘুম দিলেন স্ত্রী। এই খুনের পরিকল্পনায় সঙ্গে ছিলেন মৃতের স্ত্রীর প্রেমিক। ছত্তীসগঢ়ের গরিয়াবন্দ জেলার ঘটনা। প্রথমে তরুণকে আকণ্ঠ মদ খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। তার পর স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক মিলে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। খুনের পর তরুণের শেষকৃত্যও সম্পন্ন করা হয়েছিল। মহিলার শ্বশুর মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তখনই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গ্রেফতার হন মৃত যুবকের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, কোপড়া নগর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা চুম্মন সাহু এবং প্রতিমা সাহু চার বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। একই গ্রামের বাসিন্দা দৌলত পটেলের সঙ্গে প্রতিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দৌলত পেশায় বিদ্যুতের জিনিসপত্র সারাইয়ের কাজ করতেন। সেই সূত্রে চুম্মনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাঁর। দৌলত এবং প্রতিমার মধ্যে গত দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বাড়িতে অনেক বারই তাঁরা হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন। পরকীয়া করার জন্য চুম্মন প্রতিমাকে প্রায়ই মারধর করতেন।

২৫ জুলাই রাতে চুম্মনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন দৌলত ও প্রতিমা। সেই অনুযায়ী মদ্যপ স্বামীকে প্রতিমা শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ যখন প্রতিমাকে গ্রেফতার করতে আসে তখন তিনি হাসছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীকে হত্যার পর প্রতিমা সকালে পরিবারের সদস্যদের সামনে কাঁদতে শুরু করেন। সকলে মনে করছিলেন অতিরিক্ত মদ খাওয়ার ফলে মারা গিয়েছেন চুম্মন। পরে পুলিশি জেরার মুখে প্রতিমা স্বীকার করেন যে, তিনি তাঁর স্বামীর সামনেও প্রেমিকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তাঁর দাবি, স্বামী মদ্যপ অবস্থায় প্রতি দিন তাঁকে মারধর করতেন। এ কারণেই দৌলতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement