Bizarre

প্রথমে মাখো মাখো প্রেমের নাটক, পরে ১২ লক্ষ টাকায় সেই প্রেমিককেই বিক্রি! কর্মফলও পেলেন ‘নরকের প্রেমিকা’

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝানজিয়াং শহরের বাসিন্দা হুয়াং নামে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণকে প্রথমে মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসায় ঝৌ নামের কিশোরী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫২
Share:

মাখো মাখো প্রেম। একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। ১৯ বছর বয়সি সেই প্রেমিককেই ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিল ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরী! কিশোরী এবং তার প্রেমিক দু’জনেই চিনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝানজিয়াং শহরের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। কিশোরীকে ‘নরকের প্রেমিকা’ তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকেরা।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝানজিয়াং শহরের বাসিন্দা হুয়াং নামে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণকে প্রথমে মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসায় ঝৌ নামের কিশোরী। অভিযোগ, এর পর তরুণকে বিদেশে চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে এবং ১০০,০০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা)-এর বিনিময়ে মায়ানমারের একটি প্রতারক দলের কাছে বিক্রি করে দেয়। চার মাস ধরে হুয়াংয়ের উপর মায়ানমারের ওই প্রতারক দল অত্যাচার চালায় বলেও অভিযোগ। তাঁকে নাকি একটি খাঁচায় রেখে দাসের মতো ব্যবহার করা হত। এর পর চলতি বছরের জুন মাসে হুয়াংয়ের পরিবার ৩৫০,০০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা) মুক্তিপণ দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনে।

বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হন হুয়াংয়ের বোন। তিনি জানান, গত বছরের অক্টোবরে ঝৌ নামের ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল হুয়াংয়ের। নিজেকে বিত্তশালী পরিবারের কন্যা বলে পরিচয় দিয়েছিল ঝৌ। এর পরেই সে নাকি ধীরে ধীরে হুয়াংকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। মায়ানমারে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্রি করে দেয় অপরাধীদের কাছে। হুয়াংয়ের দাবি, গত ২ ফেব্রুয়ারি তাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তের কাছে তাকে ছেড়ে চলে যায় ঝৌ। এর কিছু ক্ষণ পরেই সশস্ত্র কিছু মানুষ এসে তাঁকে ধরে নিয়ে যান এক গোপন আস্তানায়। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল এবং যাবতীয় নথিপত্র।

Advertisement

হুয়াং জানিয়েছেন, ওই গোপন আস্তানায় তাঁর মাথা কামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৬-২০ ঘণ্টা দাসের মতো খাটতে বাধ্য করা হত তাঁকে। লোহার রড দিয়ে মারধরও করা হত। শারীরিক নির্যাতনের ফলে তাঁর ওজন ১০ কেজিরও বেশি কমে গিয়েছিল। শ্রবণশক্তিও কমে এসেছিল। এর পরেই তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৩৫০,০০০ ইউয়ান মুক্তিপণ দাবি করে অপরাধীরা। সেই অর্থ পেয়ে ২০২৫ সালের জুনে মুক্তি পান হুয়াং।

তবে হুয়াংয়ের প্রতারক বান্ধবীও ছাড় পায়নি। তাইল্যান্ডে ছুটি কাটিয়ে চিনে ফেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছেন কেউ কেউ। কিশোরীকে ‘নরকের প্রেমিকা’ তকমাও দিয়েছেন অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement