ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
সন্দেহ অনেক দিন ধরেই ছিল। সেই সন্দেহই সত্যি বলে পরিণত হল। পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে ধরলেন যুবক। ঘটনাচক্রে ওই যুবক, তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিক— তিন জনেই পেশায় পুলিশ কনস্টেবল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রবিবার ভোরে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে মিথিলেশ যাদব নামে এক পুলিশ কনস্টেবল দেখেন, স্ত্রী সিম্পি যাদবের সঙ্গে প্রেমে মত্ত বিশ্বনাথ রাই নামে অন্য এক পুলিশ কনস্টেবল। মিথিলেশের স্ত্রীও পুলিশ কনস্টেবল। সঙ্গে সঙ্গে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেগতিক বুঝে প্রেমিককে একটি ঘরে বন্ধ করে দেন মিথিলেশের স্ত্রী। বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি তালা খুলতে অস্বীকার করেন। এর পরেই রেগে গিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করেন মিথিলেশ। স্ত্রীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লোহার চাটু দিয়ে একটি তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন এক যুবক। দরজার বাইরে পুলিশের উর্দিতে দাঁড়িয়ে এক তরুণী। তাঁকে তালা খুলে দেওয়ার জন্য বলছেন যুবক। কিন্তু তরুণী তা না করায় ওই যুবক চিৎকার করছেন রেগে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়ো অনুযায়ী, যে যুবক তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন তিনিই মিথিলেশ এবং ওই তরুণী তাঁর স্ত্রী। তালা খুলে স্ত্রীর প্রেমিককে বাইরে বার করার চেষ্টা করছিলেন মিথিলেশ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষমেশ তালা ভেঙে স্ত্রীর প্রেমিককে বাইরে বার করে আনেন মিথিলেশ। তাঁকে মারধরও করেন। পুলিশি হস্তক্ষেপের পর মিটমাট হয়। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিথিলেশ এবং সিম্পির বিয়ে হয়েছিল। কুশিনগরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরেই সিম্পির বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মিথিলেশ। দূরত্বও বাড়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তার মধ্যেই ওই ঘটনা ঘটে। মিথিলেশের অভিযোগ, তাঁকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সিম্পি এবং বিশ্বনাথ।
পুরো ঘটনার ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে সচিন গুপ্ত নামের এক সাংবাদিকের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন ভিডিয়োটি। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমন অনেকে আবার বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন। ভিডিয়োটি দেখার পর এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘পুলিশের বাড়িতে চুরি পুলিশেরই! দিন দিন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী কে?’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘বেচারা যুবক! তবে ওঁর উচিত স্ত্রীর জীবন থেকে সরে এসে নতুন করে জীবন শুরু করা।’’