Bizarre Incident

রেগে ধাক্কা মারল ছেলে, বলল অদ্ভুত কথা, সন্দেহ হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে চমকে গেলেন যুবক

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব চিনের শানডং প্রদেশে। ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম জিয়াং হোংতাও। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০২ সালে বিয়ে করেন জিয়াং। ২০০৪ সালে প্রথম পুত্রের জন্ম হয়। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় ২০১৪ সালে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:২২
Share:

ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

স্ত্রী এবং দুই পুত্রকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল। কিন্তু সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সন্তানদের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয়। এক পুত্র মারধরও করেন। এর পরেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সন্তানদের ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছিলেন চিনের এক ব্যক্তি। আর সেই পরীক্ষার ফলাফল হাতে আসতেই প্রকাশ্যে এল এক ভয়ঙ্কর সত্য। ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, দুই পুত্রের মধ্যে এক জনেরও বাবা নন তিনি।

Advertisement

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব চিনের শানডং প্রদেশে। ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম জিয়াং হোংতাও। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০২ সালে বিয়ে করেন জিয়াং। ২০০৪ সালে প্রথম পুত্রের জন্ম হয়। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় ২০১৪ সালে। ২০২২ সালের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে জিয়াঙের। বিবাহবিচ্ছেদও হয়।

বিবাহবিচ্ছেদের পর ঘর ছে়ড়ে বেরিয়ে যান জিয়াং। খোরপোশ বাবদ যাবতীয় সম্পত্তি স্ত্রীকে দিয়ে দেন তিনি। কেবল একটি গাড়ি নিজের কাছে রাখেন। গত সেপ্টেম্বরে আবার বিয়ে করেন জিয়াং। এর পরেই তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র আবার খোরপোশ দাবি করেন তাঁর কাছে। জিয়াং রাজি না হওয়ায় তাঁর ছেলে জিয়াং রুনজে ধাক্কা মারেন তাঁকে। গলাও টিপে ধরে। চিৎকার করে বলে, ‘‘তুমি আমার বাবা নও।’’ সেই ঘটনার পরেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কৌশলে দুই পুত্রের ডিএনএ পরীক্ষা করেন জিয়াং।

Advertisement

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল আসার পর জিয়াং দেখেন, দুই সন্তানের এক জনও তাঁর সন্তান নয়। প্রথম সন্তান তাঁদের এলাকার এক নেতার এবং দ্বিতীয় সন্তান তাঁরই খুড়তুতো ভাইয়ের। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন জিয়াং। সন্তানের ভরপোষণ এবং শিক্ষার জন্য ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তিনি খরচ করেছিলেন, তা চেয়ে মামলা করেন। ২০ বছর ধরে যে দু’জনকে নাতি ভেবে আদরযত্ন করেছেন, তারা আসলে তাঁদের নাতি নয় ভেবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন জিয়াঙের মা-বাবাও।

অন্য দিকে, জিয়াঙের প্রাক্তন স্ত্রীর দাবি, পুরো বিষয়টিই জিয়াঙের বর্তমান স্ত্রীর কারসাজি। গত ২৪ অগস্ট জিয়াঙের পক্ষেই মামলার রায় শুনিয়েছে চিনের একটি আদালত।

ঘটনাটি ইতিমধ্যেই চিন জুড়ে হইচই ফেলেছে। সমাজমাধ্যমেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সেই ঘটনা। জিয়াংকে সমর্থন করে গলাও তুলেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement