ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
টাইটানিকের থেকেও করুণ অবস্থা। প্রথম বার জলে নামার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ডুবে গেল প্রমোদতরী। বহু কোটি মূল্যের বিলাসবহুল ওই তরীর নাম ‘ডলস ভেন্টো’। তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের উপকূলে জলে নেমে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ডুবে যায় সেটি। প্রমোদতরী থেকে লাফিয়ে কোনও রকমে প্রাণ বাঁচান ‘ডলস ভেন্টো’র মালিক এবং ক্রু সদস্যেরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৮৫ ফুট লম্বা ‘ডলস ভেন্টো’র দাম প্রায় ৯ কোটি টাকা। প্রমোদতরীটি ইস্তানবুল থেকে তাঁর মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের উপকূল থেকে প্রথম বার যাত্রা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই সমুদ্রে ডুবে যায় সেটি। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্রমোদতরীর অন্দরে। বিলাসবহুল তরীর মালিক, নাবিক এবং ক্রু সদস্যেরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য সমুদ্রে লাফাতে শুরু করেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনারই ভিডিয়ো প্রকাশ্য এসেছে। জানা গিয়েছে, কেন প্রমোদতরীটি ওই ভাবে ডুবে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রমোদতরীর ভরাডুবি হওয়ার ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘কলিন রাগ’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লক্ষাধিক বার দেখা হয়েছে সেটি। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই অনেকে আবার বিস্ময় এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘৯ কোটি টাকায় প্রমোদতরী! এই জন্যই ডুবে গিয়েছে।’’ অন্য এক জন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘‘টাইটানিকের থেকেও খারাপ অবস্থা হয়েছে প্রমোদতরীটির।’’ তৃতীয় নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘কী ভয়ঙ্কর! আমি এমন পরিস্থিতি কল্পনাও করতে চাই না। মালিকের অবস্থা ভেবে খারাপ লাগছে।’’