স্টারশিপ সমুদ্রে আছড়ে পড়ার মুহূর্ত। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
নয়া সাফল্য আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের। সোমবার সংস্থাটির ‘স্টারশিপ’ সুপার হেভি রকেটের ১১তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। স্টারশিপটি টেক্সাসে স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ‘হট স্টেজিং’ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে স্টারশিপ এবং বুস্টারটি উত্তোলনের কয়েক মিনিট পরেই পৃথক হয়ে যায়।
মাস্কের সংস্থা জানিয়েছে, ‘হট স্টেজিং’ প্রক্রিয়ায় স্টারশিপের র্যাপ্টার ইঞ্জিনগুলি জ্বলে ওঠে। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুস্টারটি মেক্সিকো উপসাগরে নিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রবেশ করে। অন্য দিকে মহাকাশযানটি মহাকাশ ভ্রমণ করে শেষমেশ ভারত মহাসাগরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ করে আছড়ে পড়ে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও মাস্কের স্বপ্নের প্রকল্প এই স্টারশিপ। মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য রকেটটি ব্যবহার করতে চান তিনি। নাসার কাছেও রকেটটির প্রয়োজনীয়তা অনেক। ৪০৩ ফুট লম্বা স্টারশিপের সাহায্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মানুষ পাঠাতে চাইছে নাসা।
উল্লেখ্য, স্টারশিপের একাধিক পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স। ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর অগস্টে স্টারশিপ নিয়ে প্রথম সাফল্যের মুখ দেখে সংস্থাটি। এর পর সোমবার রকেটটির একাদশতম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়। নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি স্টারশিপের অগ্রগতির প্রশংসা করে সমাজমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আমেরিকানদের অবতরণের দিকে আর একটি বড় পদক্ষেপ।’’
স্পেসএক্সের স্টারশিপ মহাকাশযান এবং সুপার হেভি রকেট একটি সম্পূর্ণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান, যা উপগ্রহের পাশাপাশি মানুষকে পৃথিবীর কক্ষপথ, চাঁদ, মঙ্গল এবং তার বাইরেও বহন করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্টারশিপের পেলোড ক্ষমতা ১০০ থেকে ১৫০ টন।