—প্রতীকী ছবি।
হকের ছুটি নিয়ে বিদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন তরুণী। ইউরোপ থেকে ঘুরে আসার পর ফুরফুরে মেজাজে অফিস শুরু করেছিলেন তরুণী। কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই মানসিক অবসাদে ডুবে যান তিনি। ছুটি নিয়ে তিনি ঘুরতে গিয়েছিলেন বলে অফিসের সহকর্মীদের বক্রোক্তি বর্ষণের অন্ত নেই। কারণে-অকারণে তাঁর উপর কাজের বোঝাও চাপিয়ে দিচ্ছেন অন্য সহকর্মীরা। যেন হকের ছুটি নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়ে ভারী অন্যায় করে ফেলেছেন তরুণী। সেই ‘শাস্তি’ই তরুণীকে এ বার ভোগ করতে হচ্ছে। সমাজমাধ্যমের পাতায় সে কথাই লিখে জানিয়েছেন তরুণী (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) ।
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করেছেন এক জন তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, অফিসে ছুটি নিয়ে ইউরোপ ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। ছুটি কাটিয়ে খুশি মন নিয়ে অফিস যান তিনি। কিন্তু অফিসে গিয়ে এক তিক্ত পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। তরুণী লেখেন, ‘‘ইউরোপে গিয়ে মনে হয়েছিল আবার বাঁচতে শুরু করেছি। মনে হচ্ছিল, ‘এই তো জীবন কালীদা!’ কিন্তু অফিসে ফেরার দু’দিন পর থেকেই আমি মানসিক অবসাদে ডুবে গিয়েছি। কোনও কাজে মন বসছে না। বিরক্ত লাগছে। খুব মনখারাপ করছে।’’
তরুণীর দাবি, তিনি বিদেশ থেকে ঘুরে আসার পর সহকর্মীরা যখন-তখন তাঁকে উত্ত্যক্ত করছেন। কেউ বলছেন, ‘‘কী হল তোমার? খুব তো ইউরোপ থেকে ঘুরে এলে! এ বার অফিসের কাজও তো করতে হবে নাকি!’’ আবার কেউ বলছেন, ‘‘ইউরোপ থেকে ঘুরেটুরে এসে কি এ বার অফিসের জন্য সময় বার করতে পারবে? ঘোরা তো লেগেই থাকবে। কাজ তো এখানেই করতে হবে।’’ তরুণীর আরও দাবি, তাঁর অনুমতি না নিয়ে মধ্যরাতে অধিকাংশ অনলাইন মিটিং রেখেছেন ঊর্ধ্বতনেরা। এমনকি, ল্যাপটপ খোলার পর মোট ২৪৮ খানা মেল পেয়েছেন তরুণী।
কারণে-অকারণে তাঁর উপর ইচ্ছা করে কাজের চাপ দিয়ে যাচ্ছেন অন্য সহকর্মীরা। এমনকি, অফিসের মানবসম্পদ বিভাগের আধিকারিকও তাঁকে বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বলে তরুণীর দাবি। তরুণীর অভিযোগ, তিনি যে সামান্য ছুটি নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তার সুযোগ নিয়ে ফেলেছেন অন্য সহকর্মীরা। যেন ছুটি নেওয়ার অর্থ কাজে ফাঁকি মারা। অফিসের এমন পরিবেশের সমালোচনা করেছেন তিনি।