—প্রতীকী ছবি।
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তরুণ। সেই সংস্থায় মোট ১৫ জন কর্মী রয়েছে। সেই সংস্থার ম্যানেজারের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দু’বছর প্রেম করার পর তাঁর বিয়ে ভেঙে যায়। তার পরেই ম্যানেজারের প্রাক্তন প্রেমিকা তরুণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রাক্তন প্রেমিকের অফিসের অধস্তন কর্মীকে মেসেজ করে গোপন কথা জানান তিনি। সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে নেটাগরিকদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তরুণ (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় দু’টি স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়েছে। তরুণের দাবি, তিনি এক সংস্থায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। সংস্থায় কম সংখ্যক কর্মী থাকার কারণে সকলেই পরস্পরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মোটামুটি অবগত থাকেন। তাঁর ঊর্ধ্বতন দু’বছর ধরে প্রেম করছিলেন। প্রেমিকার সঙ্গেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কোনও কারণে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। তরুণ জানান, বিয়ে ভাঙার দিন কয়েকের মাথায় তাঁর ম্যানেজারের প্রাক্তন প্রেমিকা তরুণকে মেসেজ করেন। তরুণের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি নিজের গোপন কথা জানাতে শুরু করেন।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনাটি জানিয়ে তরুণী তাঁর প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে গোপন তথ্য দেন। তরুণীর দাবি, তিনি দু’বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেই সম্পর্কে সুখী ছিলেন না। সম্পর্কে থাকাকালীন মানসিক এবং শারীরিক হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। ব্যক্তিগত কিছু কারণে তাঁদের বিয়ে ভেঙে যায়। প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা করছেন তরুণী।
তরুণের বসের সম্পর্কে আরও কিছু গোপন কথা জানান তিনি। তরুণীর দাবি, মনোরোগ চিকিৎসকেরা তাঁর প্রাক্তনকে ‘বাইপোলার ডিজ়অর্ডার’-এর রোগী হিসাবে চিহ্নিত করলেও তিনি নাকি সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। চিকিৎসার পথে হাঁটেননি তরুণের বস্। তরুণী জানান, মহিলাদের নীচু চোখে দেখা থেকে শুরু করে সকলকে দমিয়ে রাখতে পছন্দ করেন সেই তরুণ। এমনকি, অফিসের দুই কর্মীকে চাকরি থেকে সরানোরও নাকি চিন্তাভাবনা করেছেন বস্।
অফিসের এক মহিলা সহকর্মীকে কী ভাবে অপদস্থ করা যায়, তা নিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তিনি। অফিস সংক্রান্ত নানা কথা জানিয়ে আগে থেকে সেই তরুণ অধস্তনকে সাবধান করে দেন তরুণী। এই পরিস্থিতিতে তরুণ কী করবেন তা ঠাহর করতে পারছেন না। তাই মেসেজের স্ক্রিনশট পোস্ট করে নেটাগরিকদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন।
এই বিষয় নিয়ে চুপ করে থাকবেন না কি সংস্থার ঊর্ধ্বতনদের জানাবেন তা বুঝতে পারছেন না তরুণ। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘প্রমাণ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ করবেন না। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার রাগে হয়তো সেই তরুণী অসত্য কিছু বলছেন।’’ আবার তরুণের পেশাগত জীবন নিয়ে এক জন লিখেছেন, ‘‘এত বছর ধরে আপনি এত ছোট সংস্থায় কাজ করছেন কেন? এ বার অন্য জায়গায় চাকরির সন্ধান করুন। তার ফলে আপনার কেরিয়ারে লাভ হবে।’’