ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তরুণকে। সেখানে চিকিৎসার পর মাথায় ব্যান্ডেজ পরানো হয়েছে। সুবিধার জন্য লাগানো হয়েছে ‘ইউরিন ব্যাগ’ও। কিন্তু সামান্য সুস্থ বোধ করতেই হাসপাতালের কর্মীদের ফাঁকি দিয়ে সোজা মদের দোকানে চলে গেলেন তিনি। মাথায় ব্যান্ডেজ এবং হাতে ‘ইউরিন ব্যাগ’ নিয়ে হাসপাতাল থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে একটি মদের দোকানে ঢুকতে দেখা গেল তাঁকে। মদ কিনে দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই একদমে পুরো বোতল শেষ করলেন রোগী। তার পর জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘মুকেশ গঙ্গওয়ার’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা এক তরুণ কোনও রকমে হন্তদন্ত হয়ে মদের দোকানের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। তাঁর এক হাতে ধরা রয়েছে ‘ইউরিন ব্যাগ’।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই তরুণের নাম বিপিন। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর এলাকার একটি হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। তবে, চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সোজা মদের দোকানে চলে যান তিনি। মদ কিনে সেখানেই পুরো বোতল শেষ করে ফেলেন বিপিন।
পরে জ্ঞান হারিয়ে দোকানের সামনে পড়ে যান তিনি। আবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরা। বিপিনের মায়ের দাবি, তাঁর পুত্র চোট পেয়েছে। সে কারণে নাকি তাঁর মাথার ঠিক নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে, হাসপাতালে নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এক জন রোগী সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।