Viral Video

জঙ্গল থেকে রাস্তায় লাফ ক্রুদ্ধ বাঘিনির! প্রাণ হাতে দৌড় পথচারীদের, তাড়োবার ভয় ধরানো ভিডিয়ো ভাইরাল

গর্জন করে রাস্তায় লাফালাফি করতে শুরু করল একটি বাঘিনি। কয়েক জন মহিলা পথচারী একই পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাঁদের দেখে সে দিকে দৌড়ে গেল বাঘিনিটি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৩৯
Share:

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

জঙ্গলের ধার দিয়ে একের পর এক গাড়ি ছুটছিল। কেউ কেউ আবার হেঁটেও পথ অতিক্রম করছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হলেন পথচারীরা। জঙ্গল থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় উঠে পড়ে এক বাঘিনি। তার চোখেমুখে রাগ ফুটে উঠছে। গর্জন করতে করতে রাস্তায় লাফাচ্ছে সে। পথচারীদের ভয় দেখাচ্ছে বাঘিনিটি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

‘তাড়োবাট্র্যাক.সিএইচ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। রাস্তার দু’ধারে জঙ্গল। স্কুটার চালিয়ে এক ব্যক্তি গাড়িটি অতিক্রম করে গেলেও তিনি মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েন। গাড়ির চালকও থেমে যান। জঙ্গলের দিকে তাকাতেই দেখা যায়, এক বাঘিনি লাফিয়ে রাস্তায় উঠে পড়ল। গর্জন করে রাস্তায় লাফালাফি করতে শুরু করল সে। কয়েক জন মহিলা পথচারী একই পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাঁদের দেখে সে দিকে দৌড়ে গেল বাঘিনিটি।

আক্রমণ না করলেও দৌড়ে গিয়ে সকলকে ভয় দেখাচ্ছিল মস্ত বড় বাঘিনি। জানা গিয়েছে যে, শনিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এই ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের তাড়োবা আন্ধেরি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে ঘটেছে। বন বিভাগ সূত্রে খবর, কে-মার্ক বাঘিনিটি জঙ্গল থেকে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঘিনিটি সকলকে ভয় দেখালেও কোনও পথচারীকে আক্রমণ করেনি।

Advertisement

বন দফতরের কর্মীদের ধারণা, বাঘিনিটির কোনও শাবক কাছেপিঠে ছিল। তাকে রক্ষা করতে সে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। অথবা বাঘিনিটি নিজের এলাকার কর্তৃত্ব বোঝাতে পথচারীদের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছিল। ভোরবেলা এবং সূর্যাস্তের পর জঙ্গল লাগোয়া পথে কোনও পথচারীকে যেতে নিষেধ করেছে বন বিভাগ।

তাড়োবা আন্ধেরি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এবং পুরনো ব্যঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। একসময় এই জঙ্গলে বাঘ শিকার বৈধ ছিল। কিন্তু ১৯৩৫ সালের পর শিকার নিষিদ্ধ হয়। এর কুড়ি বছর পর, ১৯৫৫ সালে এই অরণ্য সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮৬ সালে এর ঠিক পাশেই আন্ধেরি অভয়ারণ্য তৈরি হয়। ১৯৯৫ সালে তাড়োবা জাতীয় উদ্যান এবং আন্ধেরি অভয়ারণ্যের একসঙ্গে নামকরণ করে রাখা হয় তাড়োবা আন্ধেরি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement