ছবি: সংগৃহীত।
মুখে মাস্ক, হাতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার সিরিঞ্জ। পথেঘাটে অজ্ঞাতপরিচয় পথচারী দেখলেই সিরিঞ্জ নিয়ে তেড়ে যেতেন এক তরুণ। সিরিঞ্জে অবশ্য সুচ থাকত না। খালি সিরিঞ্জ দিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়ার ভান করতেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল সমাজমাধ্যমে অনুরাগীর সংখ্যা বাড়ানো। আর সেই কাজ করতে গিয়ে সাজার মুখ পড়লেন এক নেটপ্রভাবী। বিতর্কিত ‘সিরিঞ্জ প্র্যাঙ্ক’ ভিডিয়োর কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ফরাসি সমাজমাধ্যম প্রভাবী আমিন মোহিতো। তাঁর সেই ভিডিয়ো একাধিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
এক্স হ্যান্ডল থেকে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তার ধারে বসে মোবাইলে মগ্ন থাকা এক তরুণের দিকে এগিয়ে আসছেন আমিন। তাঁর মুখ মাস্কে ঢাকা। খালি সিরিঞ্জটি গায়ে ফুটিয়ে দিতেই চমকে ওঠেন তরুণ। এর পর পার্ক, মেট্রো স্টেশনের সিঁড়িতে বসে থাকা তরুণ-তরুণীর উপর এই প্র্যাঙ্কটি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন আমিন। সকলেই ভয় পেয়ে ছিটকে সরে যান। অনেকে আবার চিৎকার করতে শুরু করেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড জনমানসে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যদিও আমিনের দাবি, সিরিঞ্জটি খালি ছিল এবং কারও কোনও শারীরিক ক্ষতি হয়নি। তবুও তাঁর এই কাণ্ড সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল।
প্যারিসের ফৌজদারি আদালত আমিনকে হয়রানি, হুমকির অভিযোগে ১২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। এর মধ্যে ছ’মাস তাঁকে কারাগারের অন্দরে থাকতে হবে। আমিন আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য জানিয়েছেন, এই ভিডিয়োগুলি নিছক বিনোদন এবং মজা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। আমিন আদালতে স্বীকার করেছেন যে, তিনি এই ধরনের বিষয়বস্তুর জন্য অনুতপ্ত। যাঁদের এই প্র্যাঙ্কটির অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁদের অনেকেই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমিনের কাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলে আদালতে জানান তাঁরা। আমিনও স্বীকার করেছেন যে, কেউ যদি তাঁর দিকে সিরিঞ্জ নিয়ে ওই ভাবে এগিয়ে আসতেন তা হলে তিনিও ভয় পেতেন।