ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
না ঘুমিয়ে রাত দুটো পর্যন্ত অফিসের কাজ করছিলেন তরুণ। কাজের ফাঁকে টুং করে আওয়াজ তুলে মোবাইলে ঢুকল একটি হোয়াট্সঅ্যাপ বার্তা। প্রেরক তরুণের ম্যানেজার। মেসেজটি পড়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তরুণ। অবিলম্বে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ পেয়েছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতাটি ‘ইন্ডিয়ান ওয়ার্কপ্লেস ফোরাম’-এ পোস্ট করেছেন তিনি। কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত তরুণের ইতিবাচক পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যেই নজর কেড়েছে।
পোস্টে তরুণ লিখেছেন, তিনি এক দিন গভীর রাত পর্যন্ত অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরের দিন জমা দিতে হবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে রাখছিলেন রাত জেগেই। তাঁকে কাজ করতে দেখে হোয়াটস্অ্যাপে একটি বার্তা পাঠান তাঁর ম্যানেজার। তাঁদের কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন পোস্টদাতা তরুণ। তিনি লিখেছেন, মধ্যরাতের পরে তাঁকে লগ ইন করতে দেখে অবিলম্বে কাজ বন্ধ করে বিশ্রাম নিতে বলেন ম্যানেজার। ২৬ বছর বয়সি ওই তরুণ উল্লেখ করেন, তাঁর ৩২ বছর বয়সি ম্যানেজার সব সময়ই কর্মীদের ব্যক্তিগত সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেন। তিনি কখনও নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করার চাপ দেন না কর্মীদের। কখনও সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে কাজ করতে বলেন না। সংস্থার কর্মীদের কাজের সীমানা মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন সর্বদা। এমনটাই জানিয়েছেন পোস্টদাতা তরুণ।
পোস্টটি পড়ার পর ফোরামের সদস্যেরা অনেকেই তরুণের কাছ তাঁর সংস্থার নাম জানতে চেয়েছেন। আবার অনেকে রাত জেগে অফিসের কাজ শেষ করার অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তরুণকে। কয়েক জন ব্যবহারকারী সতর্ক করেছেন যে, অতিরিক্ত কর্মক্ষমতা প্রায়শই অফিসের প্রত্যাশা বদলে দেয়। ফলে যাঁরা নির্ধারিত সময় মেনে কাজ করতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের বাড়তি কাজ সমস্যা তৈরি করে। অনেকে আবার মজা করে ওই ম্যানেজারকে ‘দৈত্যকুলের প্রহ্লাদ’ আখ্যা দিয়েছেন।