Viral Video

প্রেমিকা বিয়েতে রাজি না হলে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি! মোবাইল টাওয়ারে উঠে ১৬ ঘণ্টা হত্যে দিলেন তরুণ, ভিডিয়ো ভাইরাল

গ্রামবাসীরা টাওয়ারের নীচে ভিড় জমিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শৈলেন্দ্রকে নীচে নামারও অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কারও কথায় কর্ণপাত করেননি তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৪৮
Share:

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

বসন্তীর প্রেমে পাগল বীরু। সংসারের বন্ধনে জড়াতে চায় সে। কিন্তু বসন্তীর মাসি যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে! বীরুর সঙ্গে বসন্তীর বিয়ে দিতে চাইছে না। মনের দুঃখে জলের ট্যাঙ্কে উঠে ‘সুইসাইড’ (আত্মহত্যা) করতে চেয়েছিল বীরু। পরে গ্রামবাসীদের সামনে নিজের ভালবাসা জাহির করে বসন্তীর মাসিকে রাজি করাতে পেরেছিল বীরু। ‘শোলে’ ছবির এই দৃশ্য বহুলপরিচিত এবং জনপ্রিয়ও বটে। এ বার বাস্তবে ‘শোলে’র বীরু হতে চাইলেন এক তরুণ। প্রেমিকাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য দেড়শো ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়লেন তিনি।

Advertisement

প্রেমিকা বিয়েতে মত না দিলে টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকিও দিলেন। টানা ১৬ ঘণ্টা মোবাইল টাওয়ারে হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন তিনি। বোঝাপড়ার পর তাঁকে নামিয়ে আনতে সফল হয় পুলিশ। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

‘লল্লু রাম’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক তরুণ মোবাইল টাওয়ারে উঠে বসে রয়েছেন। টাওয়ারের নীচে ভিড় জমিয়ে তরুণের কাণ্ডকারখানা দেখছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের অশোকনগর জেলার চান্দেরির পান্দারী গ্রামে ঘটেছে। ২২ বছর বয়সি ওই তরুণের নাম শৈলেন্দ্র। শিবপুরী জেলার বামোর কালা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মোবাইলের টাওয়ারে উঠে পড়েছিলেন শৈলেন্দ্র। প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই তরুণী বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই ১৫০ ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারে উঠে প্রেমিকাকে ফোন করেছিলেন শৈলেন্দ্র। প্রেমিকা যদি তৎক্ষণাৎ বিয়েতে সম্মতি না দেন, তা হলে টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকিও দেন। গ্রামবাসীরা টাওয়ারের নীচে ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন। শৈলেন্দ্রকে নীচে নামার অনুরোধও করেন। কিন্তু কারও কথায় কর্ণপাত করেননি তিনি।

টানা ১৬ ঘণ্টা মোবাইলের টাওয়ারে উঠে হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন তরুণ। স্থানীয়দের দাবি, শৈলেন্দ্রের ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ায় আর প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তিনি। তাই এক স্থানীয় বাসিন্দার কাছে ফোন চান। টাওয়ারে কিছুটা উঠে শৈলেন্দ্রকে ফোন দিয়ে দেন সেই ব্যক্তি। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শৈলেন্দ্রকে টাওয়ার থেকে নীচে নামানো হয়। সারা রাত টাওয়ারের নীচেই অপেক্ষা করছিল পুলিশ। শৈলেন্দ্র নীচে নামতেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে প্রেমিকা বিয়েতে রাজি হলেন কি না তা জানা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement