Bizarre

এলাহি আয়োজন, পরলোকেও ‘সঙ্গী’ পেতে বিয়ে দেওয়া হয় মৃতদের! কোথায় হয় এমন ‘ভূতের বিয়ে’?

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনের এক সম্প্রদায়ের মৃতদেহকে বিয়ে করার প্রথা প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো। ওই প্রথায় মৃতদের বিয়ে করেন জীবিত ব্যক্তিরা। মৃতের পরিবার তার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে বার করতে এক জনকে নিয়োগ করে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বিয়ে এমন এক অনুষ্ঠান যা দু’টি মানুষ এবং তাঁদের পরিবারকে এক করে। এমন এক সম্পর্কের বাঁধন যা দম্পতিকে ভালবাসা এবং অঙ্গীকারে বেঁধে রাখে। বিভিন্ন দেশে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান আলাদা। তবে বিবাহের এমনও এক রীতি রয়েছে, যেখানে মৃতদেহের বিয়ে দেওয়া হয়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিয়ের এই বিশেষ নিয়ম রয়েছে চিনে। অস্বাভাবিক এই প্রথাটি ‘ঘোস্ট ম্যারেজ’ বা ‘ভূতের বিয়ে’ নামে পরিচিত।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনের এক সম্প্রদায়ের মৃতদেহকে বিয়ে করার প্রথা প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো। ওই প্রথায় মৃতদের বিয়ে করেন জীবিত ব্যক্তিরা। মৃতের পরিবার তার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে বার করতে এক জনকে নিয়োগ করে। পাত্র বা পাত্রী বাছা হয়ে গেলে মৃত ব্যক্তির দেহাবশেষ সমাধিস্থল থেকে তুলে আনা হয়। এর পর কনে বা বরের পোশাক পরিয়ে অনুষ্ঠান করে জীবিত কারও সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

তবে সেই প্রথার নেপথ্যকারণ অনেককেই চমকে দিতে পারে। ওই সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশ্বাস, এ ভাবে ভূতের সঙ্গে বিয়ে করলে পরলোকে গিয়েও একা থাকতে হবে না কাউকে। সেখানেও উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পাবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ‘ভূতের বিয়ে’ কিন্তু মোটেও দায়সারা ভাবে হয় না। রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে, এলাহি আয়োজন করে মৃতদের বিয়ে দেয় তাদের পরিবারগুলি। খরচও হয় বিপুল। চিন সরকার বিষয়টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও সে দেশের কিছু অঞ্চলে এখনও ‘ভূতের বিয়ে’ দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement