—প্রতীকী ছবি।
নিজের কাজের চেয়েও অন্যের কাজ সামলানোর দায়িত্ব বেশি। সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টা কাজ করেন তরুণ। ছুটির দিন ক্যালেন্ডার থেকে প্রায় অদৃশ্য হয়ে যেতে বসেছে। নিজের কাজ শেষ করে ফেললেও বাড়ি ফিরতে পারেন না তিনি। অফিসে বসে বসে অধস্তনদের ভুল শোধরাতে গিয়ে দিন কাবার হয়ে যায় তরুণের। এমন পরিস্থিতির উল্লেখ করে সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/ডেভেলপর্সইন্ডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করছেন তরুণ। বিভাগের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সামলানোর কাজ তাঁর। তবে নিজের কাজ ফুরিয়ে গেলেও অফিসে থাকতে হয় তাঁকে। কোনও কোনও সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করে ফেলেন তিনি। অধস্তনের কাজের ভুল শুধরে দিতে গিয়েই দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় তরুণের।
এমনকি, যে সময় অধস্তনেরা সপ্তাহান্তের উৎসবে মেতে থাকেন, সেই সময়ও অফিসের কাজ সামলান তিনি। কোডিং ঠিক করা থেকে শুরু করে ‘ক্লায়েন্ট মিটিং’য়েও থাকতে হয় তরুণকে। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মীদের এই বিষয়ে জানালেও তা ফলপ্রসূ হবে না বলে দাবি তরুণের। তরুণ লিখেছেন, ‘‘আমার ঊর্ধ্বতনেরা মেরুদণ্ডহীন। আমি নালিশ করলে উল্টে আমারই দোষ ধরবেন।’’
অধস্তনদেরও কিছু বলতে পারেন না তরুণ। তিনি লেখেন, ‘‘অধস্তনেরা বলে যে, তারা নাকি বুঝতে পারেনি কোথায় ভুল হচ্ছে। আমি সেই ভুলগুলো শুধরে না দিলে আবার আমার নামেই অভিযোগ করবে।’’ এমন পরিবেশে কাজ করে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তরুণ।