ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘুরতে গিয়ে জ়িপলাইনে চড়েছিলেন। সেই অবস্থায় নিজের অভিজ্ঞতা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। কিন্তু তাঁর অজান্তেই সেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ভয়ঙ্কর দৃশ্য। দেখা যায়, কী ভাবে নির্বিচারে পর্যটকদের উপর গুলি চালাচ্ছে জঙ্গিরা! ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ঋষি ভট্ট নামে ওই পর্যটকের তোলা ভিডিয়োটি কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে ঋষি জানিয়েছেন, তিনি যখন জ়িপলাইনে ভ্রমণ করছিলেন সেই সময় জঙ্গিরা পর্যটকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। কিন্তু তিনি বেঁচে যান। তিনি জ়িপলাইনে ওঠার কয়েক সেকেন্ড পরেই গুলি চালানো শুরু করে জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই জ়িপলাইন অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পহেলগাঁওয়ে ঘুরতে গিয়ে জ়িপলাইনে চড়ছেন ঋষি। তাঁর মুখে হাসি। হাতে থাকা নিজস্বী দণ্ডে (সেলফি স্টিক) ফোন লাগিয়েছেন অভিজ্ঞতা ক্যামেরাবন্দি করে রাখবেন বলে। কিন্তু তিনি জ়িপলাইনে ভ্রমণ শুরু করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পাহাড়ি উপত্যকা গমগম করে ওঠে গুলির আওয়াজে। তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়ে কী ভাবে পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে জঙ্গিরা। প্রাণ বাঁচানোর জন্য পর্যটকদের দৌড়োতে দেখা যায়। কেউ কেউ পালানোর সময় জঙ্গিদের গুলি খেয়ে মাটিতে ছিটকে পড়েন। তবে পুরো বিষয়টি অজান্তেই ক্যামেরাবন্দি করেন পর্যটক। ভ্রমণ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলার বিষয়টি উপলব্ধিও করতে পারেননি। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ঘর কা কলেশ’ নামে একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো বহু মানুষ দেখেছেন। ভিডিয়ো দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। ওই জ়িপলাইন অপারেটর জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত কি না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ওই পর্যটনকেন্দ্রের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। বৈসরন উপত্যকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা পর্যটকদের উপর গুলি চালায়। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল চার থেকে ছ’জন জঙ্গি। স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গিদের পরনে ছিল পুলিশের পোশাক। কেউ কেউ আবার সেনার পোশাক পরে এসেছিল। সকলের হাতে ছিল একে-৪৭। এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন, কেউ পুত্রকে! এই ঘটনায় দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। সেই আবহেই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে।