viral video

কোলে শিশু, আগুন নিয়ে লোফালুফি খেলছেন তরুণী! জ্বলন্ত বোতলের ‘স্টান্ট’ ভাইরাল হতেই শিউরে উঠল নেটপাড়া

জমকালো একটি লেহঙ্গা-চোলিতে সেজে কোলে একটি শিশুকে নিয়ে আগুন ধরা বোতল হাতে কসরত দেখাচ্ছেন এক তরুণী। ভিডিয়োটি নবরাত্রির অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

এক হাতে দু’টি জ্বলন্ত বোতল, অন্য হাত দিয়ে ধরা কোলের শিশু। নবরাত্রির অনুষ্ঠানে গানের তালে নাচছেন তরুণী। একটি শিশুকে কোলে নিয়ে আগুনের বোতল নিয়ে ‘জাগলিং’-এর খেলা দেখাচ্ছেন তিনি। বিপজ্জনক সেই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জমকালো একটি লেহঙ্গা-চোলিতে সেজে কোলে একটি শিশুকে নিয়ে আগুনের বোতল হাতে কসরত দেখাচ্ছেন এক তরুণী। ভিডিয়োটি নবরাত্রির অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভিডিয়োয় থাকা তরুণীর নাম কবিতা মেধর। তিনি কর্নাটকের বাসিন্দা। কবিতা পেশায় এক জন বারটেন্ডার। দাবি করা হয়েছে, তিনি ভারতের প্রথম মহিলা বারটেন্ডার। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কবিতা কোলে শিশুকে নিয়ে জ্বলন্ত বোতল দু’টি শূন্যে ছুড়ে দিয়ে অদ্ভুত কায়দায় আবার লুফে নিচ্ছেন এক হাতে। অন্য হাতে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন শিশুটিকে। বোতল নিয়ে জাগলিংয়ের এই খেলাটি ‘ফ্লেয়ার বারটেন্ডিং’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে কবিতা তাঁর দক্ষতা এবং কৃতিত্বের জন্য ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে।

ভিডিয়োটি নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় পোস্ট করেছেন কবিতা। পোস্ট করার পর এখনও পর্যন্ত ভিডিয়োটি ২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। একাংশ তরুণীর সাহস ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার মনে করছেন, শিশুকে সঙ্গে রেখে আগুন নিয়ে খেলা করাটা উচিত হয়নি তাঁর। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘এ ভাবে বাচ্চা নিয়ে ভিডিয়ো বানানো নিরাপদ নয়।’’ অন্য এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “তরুণীর প্রতিভা প্রসংশনীয়। কিন্তু শিশুটির জীবনের ঝুঁকি নেওয়াটা উচিত হয়নি। যদি কিছু ভুল হয়ে যেত, সারাজীবন অনুশোচনা রয়ে যেত।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement