ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক যেন অতিকায় কোনও দানবের চোখ। চারদিকে সাদা আস্তরণ ও মাঝখানে ঘন কালো মণির মতো অংশ। দেখতে চোখের মতো হলেও এটি কোনও প্রাণীর চোখ নয়। এটি আদতে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় এরিনের ‘চোখ’। গত দু’দিন ধরেই আতঙ্ক তৈরি করেছে ঘূর্ণিঝড় এরিন। সাম্প্রতিক কালে এমন বিধ্বংসী ঝড় বড় একটা দেখা যায়নি আটলান্টিক মহাসাগরে। সেই এরিনের আছড়ে পড়ার এক বিরল এবং মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সেই ভিডিয়োয় ঝড়ের কেন্দ্রস্থলে শীতল অথচ ভয়াবহ নীরবতা প্রকাশ পেয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
এই বিরল ভিডিয়োটি ক্যামেরাবন্দি করেছে ৫৩ ওয়েদার রিকনাইস্যান্স স্কোয়াড্রন। মার্কিন সেনাবাহিনীর এই বিশেষ দলটি ক্যামেরা নিয়ে সরাসরি হারিকেনের উপর উড়ে যায় এবং তথ্য সংগ্রহ করে। এর ফলে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা ঝড়ের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে পেরেছেন। তেমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এরিনের কেন্দ্রস্থলের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এর কেন্দ্রটি চোখের মণির মতো শান্ত ও গভীর। চারদিকে বাতাসের প্রবল ঝাপ্টা। কালো অংশকে ঘিরে রয়েছে মেঘের পুঞ্জ। সেই শ্বাসরুদ্ধকর ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের আকার ও গতিপ্রকৃতি।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে চলেছে এরিন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিধ্বংসীরূপ ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। শুক্রবার সকালে এরিনের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিমি ছিল। শনিবারের মধ্যে প্রায় ২৬০ কিমি বেগে বইতে শুরু করে সেটি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি ৫ নম্বর ক্যাটেগরির ঝড়ে পরিণত হয়েছে। ‘৫৩ ওয়েদার রিকনাইস্যান্স স্কোয়াড্রন’ বা ‘হারিকেন হান্টার’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ৮ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। সা়ড়ে ন’হাজারের বেশি মানুষ তাতে লাইক দিয়েছেন।