—প্রতীকী ছবি।
রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়িতে ফলের রস বিক্রি করছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর দোকানের সামনে দিয়ে রাস্তা পার করছিলেন এক তরুণী। তখনই ওই বিক্রেতাকে অশালীন কাজ করতে দেখে হাতেনাতে ধরেন তিনি। তার পর পুলিশকেও ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। তরুণীর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বিক্রেতাকে জরিমানা করে পুলিশ। সমাজমাধ্যমের পাতায় তেমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে।
‘এবিপি নিউজ়’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, মাঝরাস্তায় এক দোকানদারের সঙ্গে তর্ক করছেন এক তরুণী। তরুণীর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছেন সেই দোকানদার।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি এই ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে ঘটেছে। ফলের রস বিক্রির জন্য রাস্তায় ঠেলাগাড়িতে দোকান দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক তরুণী। তরুণীর অভিযোগ, সেই দোকানদার নাকি একটি কাপড় দিয়ে যৌনাঙ্গে ঘষছিলেন। পরমুহূর্তে সেই একই কাপড় দিয়ে দোকানের বাসনপত্র মুছতে শুরু করেন তিনি। এই দৃশ্য দেখে দোকানদারকে হাতেনাতে ধরেন তরুণী।
দোকানের কাছেই এক জন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁর কাছে গিয়ে দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তরুণী। পুলিশ নিয়ে সেই তরুণী দোকানের সামনে গেলে দোকানদার ক্ষমাপ্রার্থনা করতে শুরু করেন। দোকানদারের দাবি, পেটে একটি ফোঁড়া হয়েছে তাঁর। সেই পুঁজই পরিষ্কার করছিলেন তিনি। ভুল করে ফেলেছেন বলে তরুণীর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান দোকানদার। তরুণী তবুও দোকানদারের কথা মানতে রাজি হলেন না। পুলিশ সম্পূর্ণ ঘটনাটি শুনে দোকানদারের জরিমানা ধার্য করেন।