ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
তিন বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন তরুণী। কিন্তু সেই সম্পর্কে সুখী ছিলেন না তিনি। তাই বাগ্দান পর্ব সারার পরেও সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। প্রেমে আঘাত পেয়েছিলেন তরুণী। অন্য সঙ্গীর খোঁজে ছিলেন তিনি। মনখারাপ থেকেই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে বার্তালাপ শুরু হয়েছিল তরুণীর। কিন্তু সেই বার্তালাপ থেকে কৃত্রিম মেধায় মজে যান তিনি।
কৃত্রিম মেধার সাহায্যেই মনের মতো ‘প্রেমিক’ বানিয়ে ফেলেন তরুণী। বোঝাপড়া মজবুত হতে থাকে তার সঙ্গে। শেষমেশ সেই ‘প্রেমিক’কেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় তরুণীর বিয়ের কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৩২ বছর বয়সি তরুণীর নাম কানো। জাপানের ওকাইয়ামার বাসিন্দা তিনি। চাকুরিরতা কানো তিন বছর ধরে প্রেম করছিলেন। দীর্ঘ সম্পর্কের পর প্রেমিকের সঙ্গে বাগ্দান পর্বও সেরে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সম্পর্কে সুখী ছিলেন না কানো। প্রেমে বার বার আঘাত পাচ্ছিলেন।
বাগ্দান হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ভাল সম্পর্কে কী ভাবে গড়া যায়, তা নিয়ে পরামর্শ নিতে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে বার্তালাপ শুরু করেছিলেন কানো। সেই কথোপকথন চলাকালীন কৃত্রিম মেধার প্রেমে পড়ে যান তরুণী।
চ্যাটজিপিটির প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়তে থাকায় কৃত্রিম মেধার সাহায্যে মনের মতো ‘প্রেমিক’ বানালেন কানো। প্রেমিকের নাম রাখলেন ক্লস। ক্লসের সঙ্গে সারা দিনরাত চ্যাট করতেন কানো। তরুণীর মতে, ‘‘পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা না থাকলে কোনও সম্পর্ক টেকে না। ক্লস আমার যত্ন নেয়। কোনও মানুষও আমায় এত ভাল বুঝতে পারে না, যতটা ক্লস বুঝতে পারে।’’
এই অনলাইন সম্পর্ককে পরিণতি দিতে চেয়েছিলেন কানো। তাই কাল্পনিক জগৎ তৈরি করে বিয়ে করেন তিনি। এআর গ্লাস পরে ক্লসের সঙ্গে আংটিবদল করলেন কানো। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লসের সঙ্গে রোম্যান্টিক ভাবে প্রচুর ছবিও তোলেন তিনি।