viral video

হল ভাড়া করে সাড়ে তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠান, লাইন দিয়ে অপেক্ষায় হাজার হাজার ছাত্রী! খান স্যরের রাখির ভিডিয়ো ভাইরাল

খান স্যারের নিজের বোন নেই। তিনি তার সমস্ত ছাত্রীদের নিজের বোন হিসাবেই দেখেন এবং শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকেই রাখিবন্ধন উৎসবের আয়োজন করে আসছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১২:৪২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

কব্জিতে তৈরি হয়েছে একটি ছোটখাটো ‘পাহাড়’। ১৫ হাজার রাখি দিয়ে হাত বেঁধে দিয়েছেন বোনেরা। ভালবাসার বাঁধনে বাঁধা পড়ে হাত অসাড় হয়ে গিয়েছে। হাত তুলতেই পারছেন না খান স্যর। রাখি উদ্‌যাপনে ১৫ হাজারেরও বেশি ছাত্রী এসে তাঁদের প্রিয় শিক্ষকের হাতে বেঁধে দিয়েছেন রকমারি রাখি। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ইউটিউবার ও শিক্ষক খান স্যরকে রাখি পরানোর জন্য একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিস পটনার কৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খান স্যরকে রাখি বাঁধার জন্য লম্বা লাইনে অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার ছাত্রী। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

৯ অগস্টের সেই অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসে থাকতে দেখা দেখা গিয়েছে খান স্যরকে। পরনে ঘিয়ে রঙের শেরওয়ানি, গলায় ওড়না, মুক্তার মালা। ছাত্রীদের উৎসাহ ছিল চোখ পড়ার মতো। তাঁদের পরানো রাখি দিয়ে খান স্যরের হাতে যেন ছোটখাটো পাহাড় তৈরি হয়ে যায়। সেই ভারে তিনি হাত নাড়াতে পর্যন্ত পারছিলেন না। ছাত্রীদের এই ভালবাসায় আপ্লুত শিক্ষকও। একটি ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আজ, আমার কব্জিতে বাঁধা রাখির সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি। এই রাখিগুলি এত ভারী যে আমি হাত তুলতেও পারছি না। আজকের যুগে এমন অভিজ্ঞতা পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমি কী ভাবে উঠে দাঁড়াব বুঝতে পারছি না।’’ এমনকী রসিকতা করে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, ‘‘হাতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কেউ চিকিৎসককে খবর দাও।’’ সেই ভিডিয়োটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।

খান স্যরের নিজের বোন নেই। তিনি তার সমস্ত ছাত্রীদের নিজের বোন হিসাবেই দেখেন এবং শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকেই রাখিবন্ধন উৎসবের আয়োজন করে আসছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি খান স্যরের ভালবাসার কথা কারও অজানা নয়। তাই রাখি বাঁধার পর ছাত্রীদের শুকনো মুখে ফেরত যেতে দেননি এই ইউটিউবার। ১৫৬ রকমের পদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছাত্রীরা জানিয়েছেন, খান স্যর কেবল সেরা শিক্ষকই নন, এক জন দাদার মতোও। পটনার খান স্যরের যে কোনও ক্লাসরুমে সবচেয়ে নিরাপদ বোধ করেন ছাত্রীরা।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement