ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তরুণী। যাত্রাপথে একটি হোটেল দেখে গাড়ি থামালেন সেখানে। খাওয়াদাওয়া শেষ হওয়ার পর হোটেলের এক কর্মীকে শৌচালয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন তাঁরা। কিন্তু আর শৌচালয়ে যাননি কেউ। বরং হোটেলের কর্মীদের ঠকিয়ে শৌচালয় যাওয়ার নাম করে সোজা গাড়িতে উঠে পড়লেন সকলে। তার পর হোটেল থেকে গাড়ি ছুটিয়ে পালিয়ে গেলেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘লাফড়াভ্লগ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, রাস্তায় এক তরুণীকে ঘিরে ধরেছেন কয়েক জন ব্যক্তি। সেই তরুণী গাড়িতে উঠে বসলেও তাঁর পিছু ছাড়লেন না কেউ। শনিবার রাজস্থানের সিওয়াড়া গ্রামের একটি হোটেলে ঘটেছে ঘটনাটি। হোটেলের কর্মীর দাবি, তরুণী তাঁর চার বন্ধুকে নিয়ে সেই হোটেলে ঢুকেছিলেন। খাওয়াদাওয়া শেষ করার পর তাঁদের হাতে বিল ধরানো হয়। মোট ১০,৯০০ টাকার বিল হয় তাঁদের।
সেই সময় শৌচালয় যাওয়ার নাম করে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। হোটেল থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন সকলে। গাড়ি ছুটিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন হোটেলের কর্মী। গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে তাঁদের গাড়ি মাঝরাস্তায় থামায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুজরাত থেকে রাজস্থান ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। খরচ বাঁচাতে হোটেলের বিল না মিটিয়েই সেখান থেকে পালিয়ে যান সকলে।
তরুণীর দাবি, তাঁদের কাছে বিল মেটানোর মতো টাকাপয়সা নেই। পরে পুলিশ এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলে অনলাইন মাধ্যমে হোটেলের বিল মেটান তাঁরা। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের একাংশ সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘‘এত দামি গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন অথচ হোটেলে খাওয়ার খরচ মেটাতে পারছেন না! এগুলো নিম্ন মানসিকতার পরিচয় ছাড়া কিছুই নয়।’’