ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মাঝরাস্তায় যে মস্ত বড় গর্ত রয়েছে তা দূর থেকে খেয়াল করেননি চালক। স্বাভাবিক গতিবেগেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। সামনে কিছু জায়গায় জল জমা হয়েছিল। চালক বুঝতে না পেরে সেখান দিয়েই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেলেন। কিন্তু হঠাৎ গাড়িটি ঝাঁকুনি খেয়ে নীচে পড়ে যেতে থাকল। যেন গাড়িসুদ্ধ ‘পাতালে প্রবেশ’ করছে। তার পর কাত হয়ে গর্তের ভিতর পড়ে গেল গাড়িটি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘জনিমেইতেই’ এবং ‘দ্য স্কিন ডক্টর’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টগুলি থেকে জানা গিয়েছে যে, একটি কালো এসইউভি গাড়ি এক দিকে কাত হয়ে রাস্তার গর্তে পড়ে রয়েছে। গর্তটি জলে ভরা। গাড়িটির অনেকটাই জলে ডুবে রয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি বিহারের পটনায় ঘটেছে। গাড়িটির মালকিনের নাম নীতু সিংহ চৌবে। ভাগলপুরের বাসিন্দা তিনি। নীতুর দাবি, গাড়ির মধ্যে পাঁচ জন ছিলেন। রাস্তায় যে বড় গর্ত রয়েছে তা চালক বুঝতে পারেননি। কোনও ব্যারিকেডও দেওয়া ছিল না রাস্তায়।
চালক ভেবেছিলেন যে, রাস্তায় জল জমে রয়েছে। বিপদ বুঝতে না পেরে গর্তের দিকেই গাড়ি চালিয়ে যান তিনি। গর্তে গাড়িটি পড়ে গিয়ে এক দিকে কাত হয়ে উল্টে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা গাড়ির ভিতর থেকে পাঁচ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। গাড়িটির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলে জানান নীতু। গাড়িটি গর্ত থেকে তোলার কিছু ক্ষণ পর নাকি একটি মোটরবাইকও সেখানে পড়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, প্রতি দিন এই গর্তের কারণে কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু গর্ত সারাই করা হচ্ছে না। রাস্তার এই পরিস্থিতি দেখে সমালোচনার বন্যা বয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। এক জন নেটাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘এমন রাস্তার হাল! লোকজন তো যে কোনও মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারেন।’’