ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
রেড পান্ডা প্রজাতি অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে বলে তার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সাত বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সিকিমের চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। সম্প্রতি সুখবর দিলেন তাঁরা। সাত বছর ধরে চিড়িয়াখানার তরফে রেড পান্ডার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য যে প্রজনন প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, তার ফলে জোড়া শাবকের জন্ম হয়েছে। নিজেদের ইনস্টাগ্রামের পাতা থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সেই সুখবর জানালেন সিকিমের হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের কর্তৃপক্ষ।
‘এইচজ়েডপিসিকিম’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, রেড পান্ডার দু’টি শাবক গোল গোল চোখ নিয়ে নড়েচড়ে বেড়াচ্ছে। এক শাবক অন্য শাবকের পিঠের সঙ্গে লেগে রয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। এক জন লিখেছেন, “কী সুন্দর গোলগাল পুতুলের মতো দেখতে ছানাগুলোকে! দেখেই আদর করতে ইচ্ছা করছে।”
বিজ্ঞানীদের দাবি, চোরাশিকার, তাপমাত্রার খামখেয়ালি পরিবর্তন-সহ নানা কারণে রেড পান্ডা বিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে। রেড পান্ডাদের খাদ্যাভ্যাস, বেঁচে থাকা এবং প্রজননের জন্য বসবাসের উপযোগী স্থান হিসাবে বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা এবং উদ্ভিজ্জ-খাদ্য সরাসরি যুক্ত। বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রার উপর বিশেষ করে নির্ভর করে বাঁশ গাছের বৃদ্ধি। রেড পান্ডারা যেহেতু আচ্ছাদনে থাকতে পছন্দ করে, তারা মধ্য এবং পূর্ব হিমালয়ের নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশের ঘন বাঁশবনকেই বেশি পছন্দ করে।
সেই জন্য বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা এবং খাদ্য থেকে চেনা যায় রেড পান্ডার বাসভূমি। এমন পরিবেশেই তাদের বাঁচিয়ে রাখার পক্ষপাতী বিজ্ঞানীরা। গত কয়েক দশকে জমির ব্যবহারের ধরন বদলানো এবং মানুষের কার্যকলাপের কারণে মূলত এদের বেঁচে থাকা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জলবায়ুর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, স্থান পরিবর্তন এবং রেড পান্ডাদের অন্যত্র চলে যাওয়ায় প্রাণীসংখ্যায় দ্রুত হারে তারতম্য ঘটেছে।