ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মাঝসমুদ্রে ‘বন্ধু’ হাঙরকে চুমু খাচ্ছেন তরুণী। আদর করছেন ভয়ঙ্কর প্রাণীটিকে। কথা বলছেন তার সঙ্গে। চাঞ্চল্যকর তেমনই একটি ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। হইচই ফেলেছে। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি কোথায় এবং কবে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে, তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মাঝসমুদ্রে স্নান করছেন এক তরুণী। তাঁর ঠিক পাশেই একটি ভয়ঙ্কর হাঙর। ধারালো দাঁত দেখা যাচ্ছে তার। এর পর ওই হাঙরটিকে কাছে টেনে নেন তরুণী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “একে পোষ মানাতে তিন বছর সময় লেগেছে। অবশেষে ও আমার কাছে আসছে।’’ এর পরেই ওই হাঙরটিকে চুমু খান তরুণী। শান্ত ভাবে তরুণীর ঠোঁটে মুখ ঠেকায় হাঙরটিও। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘জ়িয়াদ জ়েব্রা’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। প্রায় পাঁচ লক্ষ বার দেখা হয়েছে সেটি। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। নেটাগরিকদের একাংশ ভিডিয়োটি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করলেও অনেকেই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভিডিয়োটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই)-র সাহায্যে তৈরি বলেও দাবি করেছেন অনেকে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এটা মনে হচ্ছে এআই ভিডিয়ো। না হলে তরুণীকে কখন খেয়ে ফেলত হাঙরটি।’’
যদিও নেটাগরিকদের অনেকেই মনে করছেন ভিডিয়োটি সত্যি হলেও হতে পারে। কারণ, ওই ভাইরাল পোস্ট অনুযায়ী, ভিডিয়োয় যে তরুণীকে দেখা যাচ্ছে তিনি সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এলিস জেন্ট্রি। ২০১৮ সালে তাহিতির উপকূলে একটি বিশেষ পরীক্ষা শুরু করেছিলেন এলিস। তাঁর লক্ষ্য ছিল একটি বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে হাঙর এবং মানুষের বন্ধন গড়ে তোলা।