—প্রতীকী ছবি।
মজা করে পুরুষ সহকর্মীর প্যান্ট টেনেছিলেন। সেই টানে খুলে যায় প্যান্ট। খুলে বেরিয়ে আসে ওই সহকর্মীর অন্তর্বাসও। সেই ঘটনার ভিত্তিতে এক মহিলাকে যৌন অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাল আদালত। প্রায় দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তরুণীকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গ্যাংওন প্রদেশে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর। অভিযুক্ত মহিলা এবং অভিযোগকারী তরুণ একই রেস্তরাঁয় কাজ করতেন। বাকি সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে ২০ বছরের ওই তরুণের সঙ্গে ‘প্র্যাঙ্ক’ করতে গিয়ে হঠাৎ করে তাঁর প্যান্ট টেনে খুলে দেন ৫০ বছর বয়সি মহিলা। প্যান্টের সঙ্গে তরুণের অন্তর্বাসও খুলে যায়। জনসমক্ষে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন তরুণ। এর পরেই তিনি ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। কয়েক মাস ধরে সেই মামলা চলার পর গত ৭ জুন মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত।
কোরিয়া হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতে অভিযুক্তের দাবি ছিল, ‘নিছকই রসিকতা’র ছলে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। তাঁর খারাপ কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে তাঁর দাবি উড়িয়ে চুনচিওন জেলা আদালত মামলার রায় ঘোষণার সময় জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা যা করেছেন তা যৌন অসদাচরণের শামিল, অনুপযুক্ত এবং আপত্তিকর। আদালত এ-ও উল্লেখ করেছে যে, এই ধরনের ঘটনাকে ‘রসিকতা’ বলে ছাড় দেওয়া যায় না। এর পরে ওই মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে ২৮ লক্ষ ওন (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দু’লক্ষ টাকা) জরিমানা করেছে আদালত। পাশাপাশি অভিযুক্তকে আট ঘণ্টা যৌন হিংসা প্রতিরোধী শিক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার রায় ঘোষণার সময় কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সীমা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন ওই আদালতের বিচারক।