ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
নাকে অবাঞ্ছিত রোম রাখতে চাইছিলেন না তরুণী। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ‘ওয়াক্সিং’ করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সরু কাঠির উপর কাপড় জড়িয়ে তাতে প্রয়োজনমতো উপকরণ লাগিয়ে তা নাকের ছিদ্রে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরেই সাহস পালিয়ে গেল তাঁর। ‘ওয়াক্সিং’-এর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারবেন কি না, তা ভেবে আগে থেকেই ভয় পেতে শুরু করলেন তিনি।
পরে তাঁর স্বামী এসে একটি কাঠি ধরে টান মারতেই হাঁটু কাঁপতে শুরু করে দিল তরুণীর। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তরুণীর নাম সামান্থা ডার্ফে। স্বামী মাইকির সঙ্গে সুখের সংসার বিদেশিনি সামান্থার। ভালবেসে তরুণীকে স্যাম বলে ডাকেন মাইকি। সামান্থার ইচ্ছা, নাকের চুল সাফ করার। তাই ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে নিজেই ‘ওয়াক্সিং’ করতে শুরু করেন। নাকের ছিদ্রে সরু কাঠি ঢুকিয়ে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কাঠির উপর লেগে থাকা সামগ্রী শুকিয়ে গেলে তা টেনে বার করে আনতে হয়। নিয়মমতো তা-ই করতেন সামান্থা।
কিন্তু ‘ওয়াক্সিং’ করানোর যন্ত্রণার সঙ্গে অবগত তিনি। সে কারণেই কাঠি টানার আগে ভয় পাচ্ছিলেন সামান্থা। স্ত্রীর অবস্থা দেখে নিজেই সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেন মাইকি। একটি নাক থেকে টেনে কাঠিটি বার করলেন তিনি। তার পর থেকেই সামান্থার হাঁটু কাঁপতে শুরু করল। সামান্থাকে দেখে ঘাবড়ে গেলেন মাইকি।
যদিও সামান্থা বার বার মাইকিকে আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি যে ভাল রয়েছেন, ভালমতো শ্বাস নিতে পারছেন তা-ও জানাচ্ছিলেন। কিন্তু বেশি ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না সামান্থা। যন্ত্রণার চোটে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। পরে অবশ্য জ্ঞান ফেরে তাঁর। জানা গিয়েছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নিজেই স্বামীর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করেছেন সামান্থা।