ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
কথা না শুনলেই কপালে জোটে ভয়ানক শাস্তি। কখনও গালে চড়-থাপ্পড় মেরে দেন, কখনও আবার দুই পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখেন। কয়েক মাস ধরে স্কুলের কচিকাঁচাদের এ ভাবেই চরম শাস্তি দিচ্ছেন স্কুলের অধ্যক্ষ। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ভিডিয়ো (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষের শিকার হন স্কুলের অধ্যক্ষ। স্কুলপড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও সেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ এবং স্কুলের ভ্যানচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি হরিয়ানার পানীপতের একটি স্কুলে ঘটেছে। এক অভিভাবিকার অভিযোগ, তাঁর সাত বছরের পুত্রকে নাকি ক্লাসরুমের ভিতর পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষ। অভিভাবিকার দাবি, সেই স্কুলে ছেলেকে কয়েক দিন আগে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগছিল তাঁর ছেলের। পরে তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর সন্তানকে শাস্তি দিতে ক্লাসরুমের ভিতর পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষকে এই কাজে সাহায্য করেছিলেন স্কুলের ভ্যানচালক। অধ্যক্ষের নির্দেশে তিনিই নাকি সাত বছরের পড়ুয়াকে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সেই পড়ুয়া নাকি অন্য দুই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল। ছাত্রকে শাস্তি দেওয়ার আগে নাকি তার অভিভাবককে জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। এই ঘটনাটি অগস্ট মাসের হলেও সম্প্রতি তা সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিয়োটি নেটাগরিকদের নজর কাড়তে স্কুলের অন্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও অধ্যক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, নানা অছিলায় তাঁদের সন্তানকে মারধর করেন অধ্যক্ষ। কারণে-অকারণে শাস্তি দিতে পড়ুয়াদের চড়-থাপ্পড়ও মারেন তিনি। নিকটবর্তী থানায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি স্কুলের ভ্যানচালককেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।