Bizarre

‘হান্ড্রেড’ হল ‘হরেন্দ্র’! ইংরেজিতে চেক লিখতে গিয়ে হিমশিম খেলেন স্কুলের অধ্যক্ষ, ছবি দেখে হেসে কুটিকুটি নেটপাড়া

হাজার বোঝাতে ইংরেজিতে ‘থাউস্যান্ড’ লেখা হয়। অধ্যক্ষ তার পরিবর্তে লিখে ফেলেছেন ‘থার্সডে’। বাংলায় তার অর্থ দাঁড়ায় বৃহস্পতিবার। ইংরেজিতে শতক বোঝাতে গিয়ে ‘হান্ড্রেড’ হয়ে গিয়েছে ‘হরেন্দ্র’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৩৩
Share:

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

অবিলম্বে হাতে নগদ টাকার প্রয়োজন বলে চেক লিখে দিয়েছিলেন স্কুলের অধ্যক্ষ। স্থির করা হয়েছিল যে, ব্যাঙ্কে গিয়ে সেই চেক জমা দিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু ব্যাঙ্কের কর্মীর হাতে চেক তুলে দিতেই রেগে গেলেন তিনি। অধ্যক্ষ স্ট্যাম্প দিয়েছেন, টাকার পরিমাণও লিখে দিয়েছেন। কিন্তু এ যে ভুল বানানে ভর্তি! ইংরেজিতে টাকার পরিমাণ লিখতে গিয়ে হাস্যকর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন স্কুলের অধ্যক্ষ। সেই চেকের ছবি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তে হাসির বন্যা বয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়।

Advertisement

‘দ্য মডার্ন হিমাচল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের রোনহাট জেলার সিরমৌর এলাকার এক স্কুলের অধ্যক্ষ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার জন্য চেক লিখে দিয়েছেন। স্ট্যাম্প দিয়ে সইও করে দিয়েছেন তিনি। ব্যাঙ্ক থেকে ৭ হাজার ৬১৬ টাকা তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার চেকে টাকার পরিমাণ লিখে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাঙ্কের কর্মী সেই চেক দেখেই রেগে আগুন হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে চেকটি ফিরিয়ে দেন তিনি।

স্কুলের অধ্যক্ষ সংখ্যায় টাকার পরিমাণ ঠিক লিখলেও ইংরেজিতে তা লিখতে গিয়ে ভুল বানানে ভরিয়ে দিয়েছেন। ৭ সংখ্যা ইংরেজিতে ‘সেভেন’। তা না লিখে বানান ভুল করে অধ্যক্ষ লিখেছেন ‘সাভেন’। হাজার বোঝাতে ইংরেজিতে ‘থাউস্যান্ড’ লেখা হয়। অধ্যক্ষ তার পরিবর্তে লিখে ফেলেছেন ‘থার্সডে’। বাংলায় তার অর্থ দাঁড়ায় বৃহস্পতিবার। ইংরেজিতে শতক বোঝাতে গিয়ে ‘হান্ড্রেড’ হয়ে গিয়েছে ‘হরেন্দ্র’।

Advertisement

১৬ সংখ্যায় লিখলেও ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ‘সিক্সটি’ অর্থাৎ ৬০। অশুদ্ধ বানানে লেখা চেক ব্যাঙ্ক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে পরে আবার সঠিক বানানে একটি চেক জমা দেওয়া হয়। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের স্কুলের অধ্যক্ষের এই দশা দেখে হাসিতে ফেটে পড়েছেন নেটপাড়ার একাংশ। কেউ কেউ আবার অধ্যক্ষের সমালোচনাও করতে পিছপা হননি। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘স্কুলের অধ্যক্ষই যদি এমন বানানে ইংরেজি লেখেন তা হলে সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা কী শিখবে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement