ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ‘ফোর্থ স্টেজ’ কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পর মৃত্যু হয়েছে সমাজমাধ্যম তারকা ট্যানার মার্টিনের। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন আমেরিকার উটাহের বাসিন্দা ওই নেটপ্রভাবী। মৃত্যুর ৪১ দিন আগে জন্ম হয়েছে তাঁর কন্যা অ্যামির। মৃত্যু যে অবশ্যম্ভাবী তা জানতেন মার্টিন। তাই মৃত্যুর আগেই মৃত্যুর খবর রেকর্ড করে রেখেছিলেন তিনি। মার্টিনের মৃত্যুর পর সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর স্ত্রী শে রাইট। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সেই ভি়ডিয়ো দেখে কান্নায় ভিজেছে নেটপ্রভাবীর অনুরাগীদের চোখ। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
গত বুধবার পোস্ট করা আবেগঘন ভিডিয়োয় ক্যামেরার সামনে বসে নিজের মৃত্যুর কথা সরাসরি বলতে দেখা গেছে মার্টিনকে। ভিডিয়োয় মার্টিনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এটা আমি, আপনাদের ট্যানার। যদি আপনি এই ভিডিয়ো দেখে থাকেন, তার মানে আমি মারা গিয়েছি। আমার জীবন সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমি এই ভিডিয়োয় আমার মৃত্যু ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমি এক বছর আগে অন্য এক জনকে তেমনটা করতে দেখেছিলাম। আমি মনে করি এটি আপনার সমস্ত চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার ভাল সুযোগ।”
মার্টিন আরও বলেছেন, ‘‘তোমাদের মতো বন্ধুদের কারণেই আমি অসাধারণ জীবন কাটাতে পেরেছি। আশা করি এবং বিশ্বাস করি মারা যাওয়ার পরও তোমাদের মনে থাকব।’’ পরবর্তী ভিডিয়োয় নবজাতিকা কন্যাকে কোলে নিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মার্টিনকে। মেয়ের ভবিষ্যৎ যাতে ভাল হয় তার জন্য অনুরাগীদের কাছে সাহায্যের আবেদনও করেন তিনি। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা দেখেই মনখারাপ মার্টিনের অনুরাগীদের। অনেকেই ভেঙে পড়েছেন কান্নায়।
মার্টিন ছিলেন এক জন প্রাক্তন কল সেন্টার কর্মী। পাঁচ বছর আগে তাঁর শরীরে কোলোরেক্টাল ক্যানসার বাসা বাধে। ক্যানসার যাত্রা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলে সমাজমাধ্যমে প্রচুর ফলোয়ার অর্জন করেন তিনি।