Viral Video

ক্ষমতা নিঃশেষ, কিন্তু মনের জোর প্রবল, উত্তরকাশীর বিধ্বস্ত গ্রাম থেকে অলৌকিক ভাবে রক্ষা পেলেন যুবক! ভাইরাল ভিডিয়ো

ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হড়পা বানের কবলে বিধ্বস্ত ধরালী গ্রামের একটি অংশ। বিস্তীর্ণ এলাকা জলকাদায় ডুবেছে। কয়েকটি বাড়িও ডুবে গিয়েছে। তার মধ্যেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে বিপর্যস্ত এলাকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন এক যুবক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ১০:০৪
Share:

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে নেমে আসা হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী গ্রাম। জলকাদায় ডুবেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। আর তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে কী ভাবে জলকাদা থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছেন এক যুবক। তাঁর শরীরে শক্তি না থাকলেও মনের শক্তি প্রবল। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম

Advertisement

ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হড়পা বানের কবলে বিধ্বস্ত ধরালী গ্রামের একটি অংশ। বিস্তীর্ণ এলাকা জলকাদায় ডুবেছে। কয়েকটি বাড়িও ডুবে গিয়েছে। তার মধ্যেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সেই বিপর্যস্ত এলাকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন এক যুবক। তাঁর শরীরের অর্ধেক কাদায় ডুবে। কাদা থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর শরীরে শক্তি প্রায় নেই। বেরোতে গিয়ে বার বার কাদায় পড়ে যাচ্ছেন তিনি। হামাগুড়ি দিচ্ছেন। কিছুটা দূর থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁকে কাদা থেকে বেরিয়ে আসতে উৎসাহিত করছেন। ‘পালা পালা, প্রাণ বাঁচিয়ে পালা’ বলে চিৎকার করতে শুরু করেন তাঁরা। অবশেষে অনেক কষ্টে জলকাদা থেকে অলৌকিক ভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন ওই যুবক। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।

ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘যশ তিওয়ারি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। ভিডিয়োটি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা। যুবকের প্রাণ বাঁচায় আনন্দও প্রকাশ করেছেন অনেকে।

Advertisement

মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী গ্রামে আচমকা নেমে আসা হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে গ্রামের একটা বড় অংশ। শুধু উত্তরকাশী নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে পারে উত্তরাখণ্ডের আরও কয়েকটি জেলা। এমনই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। বুধবারও বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা কম বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জারি লাল সতর্কতা। সেই আবহে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ন’জেলার সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরকাশী-হর্ষিল সড়কে ধস নেমেছে। ফলে ওই সড়কে বেশ কয়েকটি অংশ বন্ধ। প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় সেনা এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য চারটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারগুলিকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেনার এক উচ্চপদস্থ কর্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement