ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। অনেক বোঝানোর পরেও সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি ছিলেন না তিনি। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় মন্দিরে স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিকের বিয়ে দেওয়ালেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। সমাজমাধ্যমে হইচইও ফেলেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জৌনপুরের সরাই মহিউদ্দিনপুরের গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ নামের যুবক বছর দু’য়েক আগে রীতা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই অরবিন্দ জানতে পারেন যে তাঁর স্ত্রী বিয়ের আগে যশবন্ত নামের এক স্থানীয় যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। বিয়ের পরে সেই সম্পর্ক আবার জোড়া লেগেছে। রীতা যাতে যশবন্তের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন, তা নিয়ে স্ত্রীকে অনেক বোঝান অরবিন্দ। কিন্তু রীতা রাজি হননি। বরং এক বার যশবন্তের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়েও যান তিনি। আবার ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। তবে বাড়ি ফেরার পরেও রীতা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, যশবন্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এর পর নিরুপায় হয়ে সরাই মহিউদ্দিনপুর বাজারের দুর্গামন্দিরে রীতা এবং যশবন্তের বিয়ের ব্যবস্থা করেন অরবিন্দ। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর বিয়ে দেন। সেই বিয়ের ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রীতার সিঁথিতে সিঁদুর পরাচ্ছেন যশবন্ত। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন অরবিন্দ। এমনকি, নবদম্পতিকে আশীর্বাদও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ ছাড়াও স্থানীয়দের অনেকেই উপস্থিত রয়েছেন মন্দিরের সামনে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে ‘ঘর কা কলেশ’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখেছেন। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে ভিডিয়োটি দেখার পর। ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকদের একাংশ মজার মজার মন্তব্য করলেও অরবিন্দের কথা ভেবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন অনেকে। অনেকে আবার ‘হিরো’ তকমা দিয়েছেন তাঁকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘আহা রে বেচারা! এ ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর বিয়ে দিতে হচ্ছে।’’
চলতি বছরের মার্চ মাসে সন্ত কবির নগর জেলাতেও অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটেছিল। একই রকম ভাবে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী রাধিকার বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বাবলু নামে এক যুবক।