Viral Video

রুশ সমুদ্র-ড্রোনের হামলায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, ডুবে গেল ইউক্রেনের ‘বৃহত্তম’ রণতরী! ভাইরাল চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো

ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর ওই রণতরীর নাম ‘সিম্ফেরোপল’। বহু দিন ধরে ইউক্রেনের হাতে থাকা যুদ্ধজাহাজটি সে দেশের ‘বৃহত্তম’ সামরিক জাহাজ বলেও দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ১০:০৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

রাশিয়ার প্রথম সমুদ্র-ড্রোন হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের ‘বৃহত্তম’ রণতরী! বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই কথা জানিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে ইউক্রেন সরকারের তরফেও। ইউক্রেনীয় রণতরী ধ্বংসের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম

Advertisement

ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর ওই রণতরীর নাম ‘সিম্ফেরোপল’। বহু দিন ধরে ইউক্রেনের হাতে থাকা যুদ্ধজাহাজটি সে দেশের ‘বৃহত্তম’ সামরিক জাহাজ বলেও জানা গিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লগুনা-শ্রেণির মাঝারি আকারের জাহাজটি দায়িনুব নদীর ব-দ্বীপে ছিল। সেই সময় রুশ ড্রোন আঘাত হানে জাহাজটির উপর। রুশ সংবাদসংস্থা ‘টাস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রথম ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে ধ্বংস করার জন্য সমুদ্র-ড্রোনের সফল ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম ‘কিভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, হামলায় এক জন ক্রু নিহত এবং বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্রের কথায়, ‘‘হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বেশির ভাগ ক্রু নিরাপদে রয়েছেন। কয়েক জন নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ চলছে।’’

Advertisement

‘সিম্ফেরোপল’ যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৯ সালে। আরও দু’বছর পর ইউক্রেনের নৌবাহিনীতে রণতরী হিসাবে যোগ দেয় জাহাজটি। এই রণতরীকে ইউক্রেনের ‘বৃহত্তম’ বলে দাবি করেছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। সাম্প্রতিক সময়ে সামুদ্রিক ড্রোনের পাশাপাশি অন্যান্য মানববিহীন ড্রোন তৈরিতে জোর দিয়েছে রাশিয়া। সেই ড্রোন হামলাতেই ধ্বংস হয়ে ডুবে গেল ইউক্রেনীয় যুদ্ধজাহাজটি।

উল্লেখ্য, অনেক দিন ধরেই সম্মুখসমরে ইউক্রেন-রাশিয়া। যুদ্ধে ইতি টানছে না কোনও পক্ষই। তবে এ নিয়ে সম্প্রতি তৎপরতা দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন তিনি। বস্তুত, গত বছরের নির্বাচনী প্রচার থেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করে আসছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামিয়ে উঠতে পারেননি ট্রাম্প। যুদ্ধ থামানোর জন্য চাপ দিতে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করেছেন। রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকি দিয়েছেন। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্কও চাপিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত জ়েলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বসাতে পারেননি পুতিনকে।

রুশ ড্রোনে ইউক্রেনের সামরিক জাহাজ ধ্বংস হওয়ার ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘আরটি’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং মন্তব্যের বন্যা বয়ে গিয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement