ছবি: সংগৃহীত।
ব্যাঙ্কে ১০টা-৫টার চাকরি করছিলেন। স্বামী এবং সন্তানদের নিয়ে সংসারও করছিলেন তরুণী। কিন্তু স্বামী ছাড়ার পর তিনিও ব্যাঙ্কের চাকরি ছাড়লেন। বেছে নিলেন ‘বিতর্কিত’ কাজ। পড়লেন প্রতিবেশী এবং স্থানীয়দের রোষের মুখেও। কিন্তু কী এমন বিতর্কিত কাজ বেছে নিয়েছিলেন তরুণী?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার পার্থের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম লুসি ব্যাঙ্কস। ২০১৯ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ৩৪ বছর বয়সি লুসির। বিচ্ছেদের আগে একটি কর্পোরেট ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন তিনি। বিচ্ছেদের পর তাঁর এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল তরুণীর। পাশাপাশি সন্তানকে যথাযথ সময় দিতেও চাইতেন তিনি। আর সে কারণে আয় বাড়ানোর জন্য বাড়িতে বসেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিডিয়ো তৈরির সিদ্ধান্ত নেন লুসি।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর মতে, লুসি বাড়ি থেকেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিডিয়ো বানাতে শুরু করেন। সন্তানরা যত ক্ষণ স্কুলে থাকত, তত ক্ষণই তিনি ওই কাজ করতেন। তারা স্কুল থেকে আসার আগেই কাজ গুটিয়ে ফেলতেন। তবে লুসির সেই পদক্ষেপ প্রতিবেশীরা ভাল ভাবে নেননি। ওই কাজের জন্য তাঁর সমালোচনায় মুখর হন স্থানীয়েরাও। এমনকি, তাঁর সন্তানদের নামে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশের কাছেও।
লুসির কথায়, ‘‘চারপাশের লোকেরা আমি কী কাজ করি, তার ভিত্তিতে আমাকে বিচার করছিল। অনেকে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। অন্য দিকে, আমার কিছু পরিচিত আমার ভিডিয়োগুলি দেখছিলেনও। মাঝেমধ্যে আমি অত্যন্ত বিষণ্ণ বোধ করতাম। কাকে বিশ্বাস করব আর কাকে করব না, তা নিয়ে ধন্দে থাকতাম।”
পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, লুসি পুলিশের কাছে যান। দেখেন, তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পাঁচটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও পুলিশ তাঁকে জানায় যে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত চলছে না। লুসির কথায়, ‘‘আমি যদি ব্যাঙ্কে কাজ করতাম তা হলে সকাল থেকে সন্ধ্যা সন্তানদের কোথাও রাখতে হত। তখনও মানুষ আমায় বিচার করত। আমি যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন, আমার দোষই খুঁজে বার করা হত।”
তবে বর্তমানে আর আপত্তিকর বিষয়বস্তুর ভিডিয়ো বানান না লুসি। তরুণী জানিয়েছেন, চার বছর ধরে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় করেন। তার পর সেই কাজ বন্ধ করে একটি পিআর এবং মার্কেটিং সংস্থা চালু করেছেন তিনি।