—প্রতীকী ছবি।
চাকরির জন্য বিদেশের এক সংস্থায় আবেদন করেছিলেন তরুণী। এক বছরের মাথায় তাঁকে আমেরিকা পাড়ি দিতে হবে সেই শর্তেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, সংস্থার তরফে স্থানান্তর ভাতা হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকাও নিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু আমেরিকার যাওয়ার সময় এগিয়ে আসতেই মন অন্য দিকে ঘুরে যায় তাঁর। আর আমেরিকায় যেতে চান তিনি। সে কথা জানাতে সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মী সমাজমাধ্যমের পাতায় তরুণীর কথা উল্লেখ করে পোস্ট করেন (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/হিউম্যানরিসোর্সেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে এক তরুণী কর্মীর কথা উল্লেখ করেছেন তাঁর বস্। আমেরিকার এক সংস্থায় চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন সেই তরুণী। চাকরির প্রথম শর্তই ছিল, তাঁকে আমেরিকায় স্থানান্তরিত হতে হবে। সেই শর্তে রাজি হয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তরুণী। স্থানান্তর ভাতা হিসাবে ৩০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১৪ টাকা) সংস্থার তরফে দেওয়া হয়েছিল তরুণীকে।
কিন্তু আমেরিকার যাওয়ার সময় হলে মন বদলে ফেলেন তিনি। আর বিদেশে যাওয়ার মন নেই তাঁর। সে কথা ঊর্ধ্বতনকে জানাতে অবাক হয়ে যান তিনি। পেশাগত ক্ষেত্রে এ ভাবে কথার খেলাপ কী ভাবে তরুণী করতে পারেন তা ভেবে হতবাক হয়ে যান তরুণীর বস্। তিনি জানান, এক বছর ধরে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তরুণী। কিন্তু কাজকর্মে তেমন পারদর্শী নন তিনি। চলতি বছরের অগস্ট মাসে আমেরিকায় যাবেন বলে স্থানান্তর ভাতা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এখন বেঁকে বসেছেন তিনি। তরুণীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবেন না কি আমেরিকা যাওয়ার জন্য তাঁকে আরও সময় দেবেন সেই পরামর্শ নিতে নেটাগরিকদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ঊর্ধ্বতন।