ফাইল চিত্র।
লেভেল ক্রসিংয়ের সংযোগকারী রাস্তা তৈরি থেকে শুরু করে রেললাইনের পাশে আগাছা সাফাই— এমন নানা কাজ এ বার হবে একশো দিনের প্রকল্পেও। রেল বোর্ড ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেলের এমন কিছু কাজ করা যাবে ওই প্রকল্পে।
রেল সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-র ২ জুন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে লাইনের
ধারে রেলের ফাঁকা জমিতে একশো দিনের কাজে জলাশয় তৈরির অনুরোধ জানান। লাইনের ক্ষতি হতে পারে এমন ঝুঁকি এড়িয়ে ওই
কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়। সে সূত্রেই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ওই প্রকল্পের সঙ্গে রেলের কাজের সংযুক্তিকরণের মৌখিক প্রস্তাব দেয়। গত ১ মার্চ
রেল বোর্ড ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ঠিক হয়, রেলের জায়গায় একশো দিনের প্রকল্পে কিছু কাজ করা যাবে।
বিষয়টি তদারক করবেন সংশ্লিষ্ট ক্যাবিনেট সচিব।
এর পরেই রেল বোর্ডের কার্যকরী নির্দেশক প্রেমসাগর গুপ্ত রেলের প্রতিটি জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে দু’মাসের মধ্যে অন্তত পাঁচটি করে কাজ একশো দিনের প্রকল্পে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হয়েছে, লেভেল ক্রসিং এবং স্টেশনের সংযোগকারী রাস্তা তৈরি, রেললাইনের পাশের নর্দমা পরিষ্কার ও সংস্কার, লাইনের পাশে সাফাই, বৃক্ষরোপণ-সহ নানা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করানো যাবে। রেল নিজেই ‘এজেন্সি’ হিসেবে একশো দিনের প্রকল্প রূপায়ণ করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের আলোচনা শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘রেলের সঙ্গে আমাদের একপ্রস্ত কথা হয়েছে।’’ আজ, শুক্রবার বর্ধমানে ফের দু’পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা।