রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু ১৭, আক্রান্ত ১০ হাজার

রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে প্রশ্নোত্তরে সরকারি পদক্ষেপের কথা ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের প্রশ্নের উত্তরে মৃতের সংখ্যা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে চলতি মরসুমে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭। সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। আর বেসরকারি হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা চার। ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্য়া ১০ হাজারের বেশি। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের মতপার্থক্যে এদিন বিবাদে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেঙ্গির বড় কারণ সম্পর্কে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে অসুস্থ লোকেদের যাতায়াতের কথা উল্লেখ করেন।

Advertisement

রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে প্রশ্নোত্তরে সরকারি পদক্ষেপের কথা ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের প্রশ্নের উত্তরে মৃতের সংখ্যা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর রাজ্যে মৃত্যুর হিসেব দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, হাবরা, অশোকনগর অঞ্চলে ডেঙ্গি দেখা দিয়েছে। নদিয়ায়ও ডেঙ্গি দেখা গিয়েছে।’’ মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অবশ্য বিরোধীদের সঙ্গে মতপার্থক্য হয়। মান্নান বলেন, ‘‘ডেঙ্গি পীড়িত কয়েকটি জায়গায় গিয়ে যে তথ্য পেয়েছি, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে বলেন, ‘‘মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।’’ সরকারকে বিঁধে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মৃতের সংখ্যা কমিয়েও রাজনীতি করা ঠিক নয়।

ডেঙ্গি মোকাবিলায় চিকিৎসার থেকেও সচেতনতার উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ধোঁয়া ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয় না।’’ মশার লার্ভা নষ্ট করতে গাপ্পি মাছ চাষের প্রস্তাব দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। গাপ্পি মাছ চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’’ সুজনবাবু অবশ্য পরে বলেন, ‘‘৫০০ কোটি কি গাপ্পি চাষের জন্য বরাদ্দ? মৎস্য দফতরের বাজেট কত? এখানে কাটমানি নেই তো?’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন