‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে সাফল্যের দাবি রাজ্য সরকারের। ফাইল চিত্র
রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছল ২ কোটিরও বেশি পরিবারের কাছে। মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে ২ কোটি পরিবারের কাছে এই সুবিধা পৌঁছেছে তার মধ্যে ৭৬ লক্ষ পরিবারই এই কর্মসূচিতে নাম লিখিয়েছেন।
সরকারি মতে, ২০১৭ সালে শুরু হয় ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প। গত বছর নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় আসে ১.৪৩ কোটি পরিবার। তার পর ডিসেম্বরে রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে সরকার’ নামে কর্মসূচি শুরু করেছিল। তাতেই নতুন করে ৭৬ লক্ষ পরিবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে যুক্ত হয়। তবে এখনও পর্যন্ত সব পরিবারের কাছে স্বাস্থ্যসাথীর স্মার্ট কার্ড পৌঁছয়নি। নবান্নের তরফে জানা গিয়েছে, বায়োমেট্রিক স্মার্ট কার্ড ৬৬ লক্ষের বেশি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
‘স্বাস্থ্যসাথী’র আওতায় থাকলেও অনেক বেসরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা মেলে না, এমন অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য রোগীকে প্রত্যাখ্যান করা চলবে না। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে এই প্রকল্পে মোট ২ হাজার ৪৭টি হাসপাতাল রয়েছে। সম্প্রতি ৪০০টি হাসপাতাল নতুন করে যুক্ত হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালেই ৬৪ হাজারের বেশি শয্যা রয়েছে চিকিৎসার জন্য। বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৫৭ হাজারের বেশি। রাজ্য ছাড়াও, দেশ জুড়ে একাধিক হাসপাতাল রয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়।
এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের জন্য মোট ১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা খরচ করবে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের অধীনে থাকা ৩৩টি রোগের মধ্যে ৫টি রোগের চিকিৎসা হয়েছে সবথেকে বেশি। তার মধ্যে রয়েছে, জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কাডিওথেরাপি, এন্ডোস্কপি-র মতো রোগ। এ জন্য প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।