ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল

বৃষ্টিতে ডুবছে রাস্তাঘাট, ক্ষোভ

আষাঢ়ের শুরুতেই নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নাকাল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শহরগুলি। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ছাড়াও অলি-গলিতে জমা জলে পা ডুবিয়েই অফিস, স্কুল বা বাজার-হাট করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তবে, রক্ষা একটাই। বৃষ্টির সময় জল জমলেও থামার খানিকক্ষণ পরে নেমে যাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ০১:১৫
Share:

ব্যারাকপুরের আনন্দপুরি এলাকায় নর্দমা উপচে রাস্তায় জল জমেছে। — নিজস্ব চিত্র।

আষাঢ়ের শুরুতেই নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নাকাল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শহরগুলি। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ছাড়াও অলি-গলিতে জমা জলে পা ডুবিয়েই অফিস, স্কুল বা বাজার-হাট করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তবে, রক্ষা একটাই। বৃষ্টির সময় জল জমলেও থামার খানিকক্ষণ পরে নেমে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাস্ত শহরে অপেক্ষা করার সময় কই?

Advertisement

অল্প বৃষ্টিতেই জল জমার সমস্যা শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায়। কামারহাটি থেকে কাঁচরাপাড়ার ঘিঞ্জি গলিতে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেই গোড়ালি ডোবা জল। ভ্যাট উপচানো আবর্জনা বৃষ্টির জলে রাস্তায় মিশে প্যাচপ্যাচে কাদা আর কটূ গন্ধের চেনা ছবিটা অবশ্য কিছুটা বদলেছে গত দু’বছরে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে। যেমন, কাঁচরাপাড়ায় খাল সংস্কার ও রাস্তাঘাটে নতুন করে পিচ পড়ার দৌলতে জল-ছবিটা বদলেছে। বদলায়নি কামারহাটি, পানিহাটি, ব্যারাকপুরের কিছু অংশ, শ্যামনগর বা গাড়ুলিয়ায়।

সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি জানিয়েছে, কোথাও কোথাও নিকাশি সমস্যা আবার কোথাও ভৌগোলিক ভাবেই নিচু জায়গা হওয়ায় জল জমার সমস্যা রয়েছে। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, ‘‘নিকাশি সমস্যা যেখানে আছে, সেখানে পুরোপুরি বর্ষা আসার আগেই নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার কথা বলা হয়েছে।’’

Advertisement

সংস্কারের অভাবে শ্যামনগরের পিরতলা রোডে জল জমে যায় সামান্য বৃষ্টিতে। স্থানীয় বাসিন্দা পম্পা বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ভোগ হয়। জুতো হাতে করে রাস্তা পেরোতে হয়।’’ ঘোষপাড়া রোড থেকে রাহুতা হয়ে যে রাস্তা কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত গিয়েছে, তার দৈন্যদশা দীর্ঘদিন। মাঝেমধ্যেই গর্ত তৈরি হয়েছে। তাতে জল জমাই থাকে। বৃষ্টি চললে তো কথাই নেই! পানিহাটি এবং কামারহাটিতেও বর্ষা এলেই রাস্তা ডোবে। ব্যারাকপুর শহরেও আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোড-সহ আশপাশের এ রোড, সি রোড, ই রোডে একটু বৃষ্টিতেই জল থই থই অবস্থা। এতে অবশ্য প্লাস্টিক আর রবারের চটি, ছাতা, বর্ষাতির দোকানে ভিড় বেড়েছে আচমকাই। ব্যারাকপুর, কাঁকিনাড়া, শ্যামনগর, কাঁচরাপাড়ায় ফুটপাথে পলিথিন বিছিয়ে পাইকারি দরে দেদার বিক্রি হচ্ছে বর্ষায় বাইরে বেরোনোর ব্যবহার্য সামগ্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন