—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ বার জেল হেফাজত। তিন দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত বাংলার এক জনপ্রিয় ইউটিউবারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতরে নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। ইতিমধ্যে তাঁর পুত্রকে হোমে পাঠানো হয়েছে।
গত রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হন ইউটিউবার এবং তাঁর ছেলে। বুধবার ওই ইউটিউবারকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি নাবালিকা ‘নির্যাতিতা’র গোপন জবানবন্দি নিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত। বিচারকের নির্দেশ, আগামী ২৪ অক্টোবর আবার আদালতে হাজির করাতে হবে অভিযুক্তকে।
ইউটিউবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেসবুকে রিল্স বানানোর নাম করে নাবালিকার ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করেন তিনি। ‘নির্যাতিতা’র দাবি, ইউটিউবারের কাণ্ডের কথা তাঁর ছেলেকে গিয়ে বলেছিল সে। সব শুনে সেই নাবালক তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে বলে, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করলাম।’ তার পর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ইউটিউবারের ছেলেও তাকে ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়, বাড়ি ফিরতে চাইলে তাকে আটকে রাখে ইউটিউবারের পুত্র।
ও দিকে, রাত হওয়ার পরেও মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে বাবা-মা ইউটিউবারের বাড়িতে যান। সেখানে মেয়ের খোঁজ পান তাঁরা। কিন্তু বিধ্বস্ত অবস্থায় মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে সমস্ত কথা জানায় বাবা-মাকে। ঘটনাক্রমে মেয়েকে নিয়ে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাবা-মা। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন পিতা-পুত্র।
গত রবিবার ইউটিউবারকে আদালতে হাজির করানো হলে তাঁর তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ছেলেকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে হোমে পাঠানো হয়।