—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছেছিল। রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করে শ্বশুর-শাশুড়িকে কোপানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা আটকে রাখেন জামাইকে। শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি।
দীর্ঘ দিন প্রেম করার পর বছর কয়েক আগে দোলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা নস্কর এবং কালিদাস নস্করের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। সুস্মিতার বাপের বাড়ির লোকজন বলছেন, তাঁদের মেয়ের উপর প্রায়শই শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতেন জামাই। একসময়ে তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। তাই তাঁদের কাছে গিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন মেয়ে। কিন্তু সেখানেও পৌঁছে যান জামাই।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন কালিদাস। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরতে বলেন। তিনি ‘না’ বলায় শুরু হয় বচসা। বেধড়ক মারধর করেন স্ত্রীকে। মেয়েকে বাঁচাতে যান বাবা-মা। কিন্তু রেহাই পাননি তাঁরাও। জামাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে কোপান। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ দম্পতি। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে দৌড়ে যান গ্রামবাসীরা। হাতেনাতে ধরে ফেলেন কালিদাসকে। খবর দেওয়া হয় থানায়।
কুলতলি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। অন্য দিকে, কালিদাসের কোপে জখম স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল বলে খবর।