Chiranjeet Chakraborty

‘মধু আছে, তাই এত নজর’! দলেরই বিধায়ককে বিঁধলেন তৃণমূলের চিরঞ্জিৎ, দিলেন সেই ‘মধুভাণ্ডের’র ব্যাখ্যাও

তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দলের কোর কমিটির বৈঠকে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তার পাল্টা দিলেন চিরঞ্জিৎ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৫২
Share:

চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।

শাসকদলের অন্দরে বিধায়কে বিধায়কে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে প্রকাশ্যে একে অন্যকে এ রকম খোঁচা নতুন। যেটা করলেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে উদ্দেশ্য করে অভিনেতা-বিধায়কের কটাক্ষ, ‘‘আমার জায়গায় দাঁড়াতে চেয়েছিল (বিধানসভা ভোটে)।’’ পাশাপাশি তৃণমূলের তিন বারের বিধায়ক চিরঞ্জিতের স‌ংযোজন, ‘‘বারাসতে অনেক ব্যবসায়ী আছে। এখানে অনেক মধু আছে। তাই এখান থেকে দাঁড়াতে চায় ও।’’

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাকক্ষে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ছিল। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বারাসতের বিধায়ককে নিয়ে বেশ কিছু অনুযোগ করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তৃণমূলের ওই সূত্রের দাবি, নারায়ণ নাকি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান, বারাসতে নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। সেখানকার নাগরিকরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারছেন না। পরিষেবা দেওয়ার মত জনপ্রতিনিধি বা নেতা সেখানে নেই। এতে নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এতে সার্বিক ভাবে তৃণমূলেরই ক্ষতি হচ্ছে।

রবিবার জেলা গ্রন্থমেলায় এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। সেখানে নারায়ণের প্রসঙ্গ আসা মাত্রই পরিচিত ভঙ্গিতে ঘাড় ঝাঁকিয়ে বিধায়ক জানান, যে যার মত দিচ্ছেন। তার পরেই বিতর্ক উস্কে দিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘‘আমায় মমতা যদি আর না দাঁড় করায় (বিধানসভা ভোটে), তা হলে হয়ত ও (নারায়ণ) ঢুকবে। তাই এক পা এগিয়ে রাখল। কিন্তু বারাসত কেন্দ্রই পছন্দের নারায়ণর? তিনি তো এমনিতেই বিধায়ক। চিরঞ্জিতের ব্যাখ্যা, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন নারায়ণ। বস্তুত, চিরঞ্জিৎ তৃতীয় বার বিধানসভা ভোটে লড়বেন কি না, এ নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বারাসত কেন্দ্র থেকে আবার চিরঞ্জিতকে টিকিট দেয় তৃণমূল। তিনিও জয়ী হন। এখন চিরঞ্জিতের দাবি, নারায়ণ হয়তো চাইছেন ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বারাসত থেকে দাঁড়াতে। তাই হয়ত নেতৃত্বের কাছে এ সব বলছেন।

Advertisement

অন্য দিকে, নারায়ণ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘যা বলার কোর কমিটির আলোচনায় বলব।’’

শাসকদলের বিধায়ক বনাম বিধায়কে এই দ্বন্দ্বে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে। এ দিকে বিধায়ক বিধায়ককে আক্রমণ করছেন। এর ‘ফল’ লোকসভা নির্বাচনে পাবে তৃণমূল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন