Coronavirus in West Bengal

দক্ষিণের করোনা-চিত্রে ছাপ পড়েনি পুজোর

মোট ও দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে জেলার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

Advertisement

সমীরণ দাস

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুর্গাপুজোর পর প্রায় এক মাস কেটে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংক্রমণ চিত্রে এখনও পুজোর ছাপ পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। হাইকোর্টের নির্দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এ বার মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ ছিল সাধারণ মানুষের। তবু পুজোর ক’দিন বহু মানুষকেই বাইরে বেরোতে দেখা গিয়েছে। তাই পুজোর পর সংক্রমণ বৃদ্ধির একটা আশঙ্কা ছিলই। চিকিৎসকেরা জানান, পুজোয় ঘোরাঘুরির জেরে সংক্রমণ বাড়ল কিনা তা বোঝা যাবে মাস খানেকের মধ্যেই। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুজোর পর গত এক মাসে জেলার সংক্রমণ চিত্রে তেমন হেরফের হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা ঠিক, পুজোর পর সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে যে আশঙ্কাটা ছিল, তা কেটে গিয়েছে।”

Advertisement

মোট ও দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে জেলার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের কাছাকাছি। সেখানে এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে তিরিশ হাজার। গত সাত দিনে একবারই জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর ৩০৩ জন আক্রান্ত হন। বাকি ছ’দিনই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আড়াইশোর আশেপাশে। তবে স্বাস্থ্য কর্তাদের স্বস্তি দিচ্ছে জেলার মৃত্যুহার। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনায় মৃত্যুহার এই জেলায় বেশ কম। পরিসংখ্যান বলছে, গত সাত দিনে এক দিন পাঁচ জন, দু’দিন চার জন, দু’দিন দু’জন এবং এক দিন একজনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে আশার কথা, সোমবার জেলায় কোনও করোনা আক্রান্তের মৃত্যুই হয়নি। সংক্রমণ শুরুর পর শেষ কবে জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, তা মনে করতে পারছেন না স্বাস্থ্য কর্তারা।

মহকুমা এবং ব্লক হাসপাতালগুলিতে অবশ্য নিয়মিত পরীক্ষা চলছে। সুন্দরবন লাগোয়া কুলতলি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ব্লক হাসপাতাল এবং উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলিয়ে রোজ প্রায় দু’শো জনের পরীক্ষা হচ্ছে। অন্য ব্লকগুলিতেও পরীক্ষা চলছে সমান তালে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানান, পজিটিভ এলেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছে। বাঙুর ও ক্যানিংয়ের কোভিড হাসপাতাল এবং ব্লকে ব্লকে সেফ হোমগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। অনেক রোগীকে বাড়িতে রেখেও চিকিৎসা হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরুই মৃত্যু হার নিয়ন্ত্রণে থাকার অন্যতম কারণ বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তবে করোনা নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার জায়গা নেই বলেও সতর্ক করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে হু হু করে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। তার উপর সম্প্রতি লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। ট্রেনে ভিড়ও হচ্ছে। যে কোনও সময় সংক্রমণ চিত্র বদলে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতেই হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন